ফের বড়সড় ধাক্কা উদ্ধব শিবিরে। নির্বাচন কমিশনের হাত বাঁধল না শীর্ষ আদালত। শিবসেনার প্রকৃত দাবিদার তাঁরাই, কমিশনে এমনই দাবি করেছিলেন একনাথ শিন্ডে শিবির। নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ দাবি করেছিল একনাথ শিবিরের কাছে। তবে একনাথরা যাতে প্রকৃত শিবসেনার স্বীকৃতি না পান সেব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের হাত বাঁধতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেরা। শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল উদ্ধব গোষ্ঠীকে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এম আর শাহ, কৃষ্ণ মুরারি, হিমা কোহলি এবং পি এস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে শিন্ডে গোষ্ঠীর আবেদন অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট উদ্ধব ঠাকরেদের আবেদন খারিজ করেছে। নির্বাচন কমিশন যাতে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর আবেদনে সাড়া না দেয়, সেব্যাপারেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে শিবির। তবে সেই আবেদন খারিজ করে এদিন আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ''নির্বাচন কমিশনের কোনও কার্যক্রম স্থগিত থাকবে না।''
আরও পড়ুন- ‘বিধায়কদের দাম জিজ্ঞেস করছে, ওঁদের কেনার চেষ্টা BJP-র’, ‘বোমা’ ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী
উদ্ধব গোষ্ঠীর আইনজীবী কপিল সিবাল। এদিন আদালতের সামনে সিবালের যুক্তি ছিল, 'অযোগ্য' হয়েও সুবিধা ভোগ করছেন শিন্ডে। যদিও এদিন সিবালের যুক্তি আদালতে ধোপে টেকেনি। বরং নির্বাচন কমিশনকে শিন্ডেদের প্রকৃত শিবসেনা হওয়ার দাবির ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরের ঘর ভেঙেছেন একদা তাঁরই ঘনিষ্ঠ একনাথ শিন্ডে। শিবসেনার বিধায়কদের ভাঙিয়ে এনে তিনি বিজেপির সঙ্গে মিলে সরকার গড়েছেন। শিবসেনার অধিকাংশ বিধায়কই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। সেই কারণে তাঁদের প্রকৃত শিবসেনার মর্যাদা দিয়ে দলের প্রতীক ব্যবহারে ছাড়পত্র দিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন শিন্ডেরা। তবে একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর এই আবেদনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও খালি হাতেই ফিরতে হল উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীকে।