কেন্দ্র আগেই 'খালিস্তানি', 'খালিস্তানি' বলে চেঁচাচ্ছিল। এবার আর চেঁচানো না। নিষিদ্ধই করে দেওয়া হল পঞ্জাব পলিটিক্স টিভির অ্যাপ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের দাবি, নিষিদ্ধ করার কারণ, ওই সব অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে 'শিখস ফর জাস্টিস' সংগঠনের যোগাযোগ আছে।
১৯৬৭ সালে তৈরি বেআইনি কার্যকলাপ ( রোধ) আইনে অভিযুক্ত ওই শিখ সংগঠন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে পঞ্জাব পলিটিক্স টিভির অ্যাপ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের। এই তথ্য কেন্দ্রকে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। আর, গোয়েন্দাদের দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই বন্ধ করে দেওয়া হল ওই সব ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট।
গত ডিসেম্বরেই বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন চালু করেছে সরকার। যে আইনের বিরুদ্ধে সংসদে ব্যাপক সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু, অন্যান্য অনেক ব্যাপারের মতো এই আইনের ব্যাপারেও রীতিমতো অনড় ছিল মোদী সরকার। সেই আইনে রীতিমতো জরুরি অবস্থার কায়দায় তড়িঘড়ি নিষিদ্ধ করা হল পঞ্জাবের ওই টিভির অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট।
এত তাড়াহুড়োর কী দরকার ছিল? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ চলাকালীন অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছিল নিষিদ্ধ শিখ সংগঠন 'শিখস ফর জাস্টিস'। তারাই মদত দিচ্ছিল পঞ্জাব পলিটিক্স টিভির অ্যাপ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টকে। তাই নিষিদ্ধ করা হল ওই সব অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং অ্যাকাউন্ট।
কেন্দ্রের এই দাবি যে নেহাতই ফেলনা, তা নয়। ইংল্যান্ডে 'শিখস ফর জাস্টিস' সংগঠনের প্রধান ঘাঁটি। বহুদিন ধরেই তারা স্বাধীন খালিস্তান রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, ব্রিটিশ সরকার ওই সংগঠনর কার্যকলাপে মদত দেয় বলেও অভিযোগ। তার প্রেক্ষিতে একাধিকবার ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূতকে সাবধানও করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু, ভারত সরকারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস ছাড়া ব্রিটেন কিছুই করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর বদলে ফিরল ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’
গত রবিবার ছিল পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। ওই দিনই ব্রিটেনে খালিস্তানের দাবিতে গণভোটের আয়োজন করেছিল খালিস্তানপন্থী সংগঠন 'শিখস ফর জাস্টিস'। আর, সেই ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ব্রিটিশ পুলিশ। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি পঞ্জাব পলিটিক্স টিভির অ্যাপ, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
Read story in English