সিকি শতক আগে দুজনের সম্পর্ক ভেঙেছিল। জাতীয় রাজনীতিতে সমাজবাদের উত্থানের সময় প্রবাদপ্রতীম নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের দুই সুযোগ্য শিষ্য বেছে নিয়েছিলেন আলাদা আলাদা পথ। মাঝে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। আবার বছর ২৫ পর মিলে গেলেন দুজনে। একসময়ে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী শরদ যাদব এবং লালুপ্রসাদ যাদব ফের একসঙ্গে এলেন।
রবিবার শরদের দল লোকতান্ত্রিক জনতা দল এবং লালুর রাষ্ট্রীয় জনতা দল মিশে গেল। এই প্রসঙ্গে শরদ যাদব সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, "বিরোধী ঐক্যের প্রথম ধাপ হল আমাদের দুই দলের মিশে যাওয়া। এই মুহূর্তে দেশে বিজেপিকে হারাতে সব বিরোধী দলের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মিশে যাওয়া ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সব বিরোধী এক হয়ে গেলে তারপর ঠিক করা যাবে সংযুক্ত বিরোধীদের নেতা কে হবেন।"
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সংযুক্ত জনতা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে লোকতান্ত্রিক জনতা দল গঠন করেন শরদ যাদব। ২০১৯ সালে মাধেপুরা কেন্দ্র থেকে লালুর দলের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়ে হেরে যান তিনি। একসময়ের শত্রু লালুর সঙ্গে হাত মেলানো নিয়ে শরদ বলেছেন, একসঙ্গে তিনি এবং লালু জনতা দলের বিক্ষুব্ধদের দলে আনার চেষ্টা করবেন।
তিনি বলেছেন, "দেশের এখন প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী শক্তি। সমমনস্ক এবং জনতা দলের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠীদের একত্রিত করার কাজ বহুদিন ধরে করে আসছি। তাই আমি আমার দলকে আরজেডির সঙ্গে মিশিয়ে দিলাম।"
আরও পড়ুন ‘দেশের মুসলিম সমাজের দুঃখ-কষ্ট নিয়েও সিনেমা হোক’, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ইস্যুতে মুখ খুললেন আমলা
এদিকে, বিহারের বিরোধী দলনেতা এবং আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদব শরদকে পিতৃসম এবং সমাজবাদের আইকন হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, "প্রত্যেকেই ভারতীয় রাজনীতিতে শরদ যাদবের অবদান জানেন। উনি পিতৃতূল্য এবং আমাদের ভবিষ্যতে পথ দেখাবেন।"