New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/ADHAR_CARD.jpg)
নাগরিকদের গোপনীয়তা আগে নিশ্চিত করুক কেন্দ্র, চায় রাজ্যগুলো।
গোপনীয়তা ভঙ্গের আশঙ্কা। আর, সেই কারণে রাজ্যগুলোর তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে অনীহা। যার জন্য আটকে আছে মোদী সরকারের এককেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা। এই ব্যবস্থাপনায় জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন, গণবণ্টন-সহ যাবতীয় সুবিধা একই তথ্যের ভিত্তিতে গ্রাহকরা পেতে পারতেন।
কিন্তু, রাজ্যগুলো নাগরিকদের তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়া নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছে। সেই কারণে তথ্যও দিতে চাইছে না। তার ফলেই একছাতার তলায় যাবতীয় সরকারি সুবিধা বা প্রকল্পকে আনতে পারছে না কেন্দ্র। ঠিক করতে পারছে না যে, কারা আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য।
এই ব্যাপারে ৫ জানুয়ারি, জাতীয় স্বাস্থ্য প্রকল্পের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আরএস শর্মা খাদ্য ও গণবণ্টন সচিব সুধাংশু পাণ্ডেকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, 'আর্থ-সামাজিক এবং শ্রেণিসুমারিতে ব্যাপক ঘাটতি থাকায় আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে উঠেছে। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নানাভাবে আর্থ-সামাজিক এবং শ্রেণিসুমারির তথ্যভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের বেছে নেওয়া সহজ হবে। জাতীয় খাদ্য মিশন এবং আধারের সঙ্গে আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রের সুমারি এবং শ্রেণিসুমারির তথ্য যুক্ত করলে আয়ুষ্মান ভারতের উপভোক্তাদের আরও সহজে চিহ্নিত করা যাবে'।
শর্মার এই চিঠির পর কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং গণবণ্টন বিভাগের ডিরেক্টর বিবেক শুক্লা ৬ জানুয়ারি রাজ্যগুলোকে চিঠি দিয়েছিলেন। উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার জন্য চিঠিতে রাজ্যগুলোর থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন শুক্লা।
আরও পড়ুন- হিজাব বিতর্কের জন্য কর্নাটকের শিক্ষকদের দুষছে কেরল
কিন্তু, অভিযোগ যে বহু রাজ্যই এখনও পর্যন্ত তথ্যফাঁসের আশঙ্কাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে সহায়তা করেননি। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার এই সব তথ্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সুবিধা লাভ করবে, এই আশঙ্কা থেকেও কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং গণবণ্টন বিভাগকে তথ্য সরবরাহ করেনি বিরোধী দলগুলো শাসিত রাজ্য।
বাধ্য হয়ে এই ব্যাপারে আধার কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্তারা কথা বলেছেন। কথামতো, রাজ্যগুলোর বদলে আধার কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের মাধ্যমে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে যাবতীয় প্রকল্পগুলো একছাতার তলায় এখন আনতে চায় মোদী সরকার।
Story read in English