মোদী-শাহর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শিণ্ডে-ফড়ণবিশের, তারপরই আস্থা জানালেন বিচার ব্যবস্থায়

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন। পাশাপাশি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গেও তাঁদের বৈঠক হয়।

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন। পাশাপাশি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গেও তাঁদের বৈঠক হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shinde_fadnavis

মহারাষ্ট্র সরকারের সমস্যা রুখতে বিজেপি এবং শিবসেনার বিদ্রোহী সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিণ্ডের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ১১ জুলাই এনিয়ে শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisment

তার আগে শুক্রবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান শিণ্ডে এবং ফড়ণবিশ। তাঁরা বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। ছয় ঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। একইসঙ্গে শিণ্ডে জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর তিনি ও ফড়ণবিশ সাংবাদিক বৈঠক করবেন। উদ্ধব ঠাকরে যে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের কথা বলছেন, সেই সম্ভাবনাও খারিজ করে দেন শিণ্ডে। তিনি জানান, বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার মেয়াদ পূর্ণ করবে।

তাঁর নেতৃত্বাধীন শিবসেনা বিধায়কদের বিদ্রোহকে সাংবাদিক বৈঠকে 'বিপ্লব' আখ্যা দেন শিণ্ডে। তিনি বলেন, 'বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে জোট হল স্বাভাবিক জোট। একমাত্র এই জোটই মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মহাবিকাশ আগাড়িতে আমাদের বিধায়করা রীতিমতো সংকটে ছিলেন। আমরা ঘরোয়া আলোচনাতেও এই জোটের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্রোহ করেছি।'

Advertisment

আরও পড়ুন- ব্রিটিশ শাসনকালে নিষিদ্ধ কবিতা, অমৃত মহোৎসবে পুনরুজ্জীবিত করছে সরকার

শিণ্ডে আরও বলেন, 'বালাসাহেব ঠাকরে শিবসেনা দলের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি হিন্দুত্বের হয়ে লড়াই করেছেন। কিন্তু, উদ্ধব ঠাকরে সেই অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এটা লক্ষ্য করেছি। উদ্ধব নীতিভ্রষ্ট হয়েছিলেন। আমরা দলকে পথে ফিরিয়েছি।' প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও মহারাষ্ট্রের এই দুই নেতা বৈঠক করেছেন।

পাশাপাশি, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও তাঁরা বৈঠক করেন। পাশাপাশি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গেও তাঁদের বৈঠক হয়। সাংবাদিক বৈঠকে ফড়ণবিশকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে অসন্তুষ্ট? সেই কারণেই কি সরকারে যোগ দিতে গড়িমসি করেছিলেন? জবাবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, 'দল আগে আমাকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করেছিল। এখন দলের প্রয়োজনে আমি সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। একনাথ শিণ্ডে আমাদের নেতা এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। আমরা তাঁর অধীনে কাজ করব। অবিচার রোখা গিয়েছে। আর, আমাদের পুরনো মিত্রতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'

Read full story in English

Eknath Shinde modi Devendra Fadnavis