শীঘ্রই রাজ্যে সরকার পড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন দাপুটে এই সাংসদ। 'বিরাট হৃদয় নিয়ে একনাথ শিণ্ডেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে বিজেপি', রাজ্যে পদ্ম দলের প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিলের এই মন্তব্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী। তাঁদের দাবি, 'মেরে-কেটে আর মাস ছ'য়েক, তার পরেই রাজ্যে সেনা-বিজেপি জোট সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী'। যদিও সেই আশঙ্কা ফুৎকারে ওড়াচ্ছে শিণ্ডে শিবির। তাঁদের পাল্টা দাবি, ''বাকি আড়াই বছরের পুরো মেয়দই একনাথ শিণ্ডে নেতৃত্বাধীন সরকার পূরণ করবে।''
শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ''আমরা সত্যিটা বলার জন্য চন্দ্রকান্ত পাটিলকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তাঁর কথায় এটা বোঝা গেল যে একনাথ শিণ্ডেকে স্টপগ্যাপ ব্যবস্থা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। তাঁকে শীঘ্রই ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। আনন্দে থাকা শিণ্ডে শিবিরের বিধায়কদেরও এবার জোর ধাক্কা লাগতে চলেছে।''
ঠিক কী বলেছিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান চন্দ্রকান্ত পাটিল? শনিবার প্যানভেলে একটি দলীয় সভায় পাটিল বলেন, ''বিরাট হৃদয় নিয়ে বিজেপি একনাথ শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছিল। এটা দুঃখজনক সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু তবু আমরা সিদ্ধান্তটি হজম করেছি। আনন্দের সঙ্গে এগিয়ে যেতেও রাজি হয়েছি।''
আরও পড়ুন- ঠাকরে না শিণ্ডে? শিবসেনায় শেষ কথা কে? ‘শক্তি’র প্রমাণ চায় কমিশন
পাটিলের এই মন্তব্যকে ঢাল করেই এবার একনাথ শিণ্ডে শিবরকে কটাক্ষ করে ময়দানে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতারা। উদ্ধব ঘনিষ্ঠ সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মতে, ''পাটিলের বিবৃতি থেকে এটি স্পষ্ট যে বিজেপি অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবেইনি। একনাথ শিণ্ডেকেই মোটা অঙ্কের টাকা দেয় ওরা। ঘোড়া কেনা-বেচায় নেমেও বিজেপি সরাসরি বিধায়কদের কেনার অভিযোগ এড়ানোর চেষ্টা করেছিল।''
রাউত আরও বলেন, ''দেশবাসীকে প্রতারণা করার জন্য বিজেপি একটি চক্রান্ত করেছিল। তাঁরা সময় কিনেছে। এবার ওঁরা শীঘ্রই আরও একটি খেলা খেলবে। কোনও কিছুর অজুহাতে শিণ্ডেকে ওঁরা সরাবে। তার পরেই তোলপাড় হয়ে যাবে শিণ্ডে শিবির। সরকারের পতন নিশ্চিত। এতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু এটা ঘটবে।''