মুম্বই সফরে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে সওয়াল করতে গিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্নে তোলেন ইউপিএ জোটের অস্তিত্ব নিয়েও। মমতার সফর শেষে কলকাতায় ফেরার দুদিন পর দলীয় মুখপত্রে খোঁচা দিল শিবসেনা। সামনা-র সম্পাদকীয়তে ইউপিএ-র সমান্তরাল কংগ্রেস বিরোধী জোটকে শাসক বিজেপি এবং ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মজবুত করার সমান লিখল শিবসেনা।
নাম না করে মুখপত্রে কটাক্ষ করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, যাঁরা কংগ্রেসহীন ইউপিএ চাইছেন তাঁরা পিছনে পিছনে বিভ্রান্তি না বাড়িয়ে নিজেদের অবস্থান জনসমক্ষে স্পষ্ট করুক। মুখপত্রে লেখা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরের পর বিরোধী দলগুলি ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির শক্তিশালী বিকল্প তৈরির জন্য একটা উদ্যম চোখে পড়ছে। কিন্তু কিছু এমন আলোচনা হচ্ছে যে জোটে কে থাকবে আর কাকে রাখা হবে না।
আরও বলা হয়েছে, "যদি সর্বসম্মতি না থাকে তাহলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলা উচিত না। নেতৃত্ব প্রাথমিক ইস্যু নয়, বরং একসূত্রে আসার একটা সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এটা সবার বোঝা উচিত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির একটাই লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসকে হারানো কারণ এটাই তাদের অ্যাজেন্ডা। যাঁরা মোদী এবং বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষতি চাইছে তাহলে সেটা উদ্বেগের।"
উল্লেখ্য, সামনা-র সম্পাদক হলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তিনি আবার দলের মুখপাত্রও। বস্তুত, মমতার মুম্বই সফরের প্রথম দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করেন রাউত এবং মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। আদিত্যর বাবা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে অসুস্থতার কারণে মমতার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে উদ্ধবের দূত রাউত আর আদিত্য আসেন মমতার কাছে।
আরও পড়ুন ‘ভোটে বাধায় বহিষ্কার’, কর্মীদের হুঁশিয়ারি অভিষেকের
এরপর এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করে মমতা ইউপিএ-র অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, "এখন কোথায় ইউপিএ! যদি আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হয় তাহলে বিজেপিকে হারানো সহজ হবে।" এর আগেও বার বার কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। বিজেপি বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সওয়াল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার মন্তব্যের কয়েকদিন পরেই মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোটশরিক শিবসেনা দলীয় মুখপত্রে কটাক্ষ করল। শিবসেনা মমতাকে বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিল, কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন