Advertisment

ভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানে গেরুয়া রং, ব্যাপক উত্তেজনা মধ্যপ্রদেশে

পাঁচ দশকের পুরনো এই ধর্মস্থান নর্মদাপুরম (হোসঙ্গাবাদ) জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। ২২ নম্বর রাজ্য সড়কের কাছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
MASJID_NEW

মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরমে এক ধর্মস্থানে হামলার অভিযোগ অভিযোগ উঠল গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। ভিন্ন সম্প্রদায়ের ওই ধর্মস্থান গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ৬টা নাগাদ। সিসিটিভিতে সেই সময় স্থানীয় কিছু যুবককে ওই ধর্মস্থানের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। এরপরই দেখা যায়, ধর্মস্থানটি গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। দরজাও ভাঙা।

Advertisment

পাঁচ দশকের পুরনো এই ধর্মস্থান নর্মদাপুরম (হোসঙ্গাবাদ) জেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। ২২ নম্বর রাজ্য সড়কেরও কাছে। ধর্মস্থানটির তদারকি করেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল সাত্তার। তিনি জানিয়েছেন, কাকভোরে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে ঘটনার খবর পান। তারপরই ছুটে এসে দেখেন, মসজিদের দরজা ভাঙা। ভিতরের অংশ, ধর্মস্থানের স্মৃতিসৌধ, চূড়া- সবই গেরুয়া রঙে রাঙানো।

ধর্মস্থানের ভাঙা কাঠের দরজা পরে মারু নদীর ধার থেকে পাওয়া গিয়েছে বলেই সাত্তার জানিয়েছেন। ওই ধর্মস্থানের ভিতরে একটা হাতকল ছিল। সেই হাতকল দুষ্কৃতীরা উপড়ে নিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন সাত্তার। এই খবর পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। তবে, ততক্ষণে ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে যায়। দ্রুত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন- সংসদে বিরোধী ঐক্য: কংগ্রেসের আহ্বানে আদৌ সাড়া দেবে TMC-AAP

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ২২ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পাশাপাশি, বনধেরও ডাক দেন। খবর পেয়ে মাখন নগর এবং সেমরিয়া থেকে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপরই অবরোধ ওঠে। ঘটনায় ২৯৫ (এ) ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত-সহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য করতে এলাকায় দুটি দমকলের গাড়ি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মালখান নগর থানার ইনস্পেক্টর হেমন্ত শ্রীবাস্তব বলেন, 'পুলিশ ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে। সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোনও যোগ নেই। এখানকার উভয় সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাই দীর্ঘদিন মিলেমিশে বাস করছেন। মনে হচ্ছে, বাইরের থেকে লোকজন এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'

Read story in English

Madhya Pradesh
Advertisment