আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রণকৌশল ঠিক করতে শনিবার দলের প্রবীণ নেতাদের বৈঠক করলেন চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকে থাকবেন দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধীও। সোনিয়া গান্ধীর বাসভবন দিল্লির ১০,জনপথ রোডে এই বৈঠকে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। প্রবীণ নেতাদের মধ্যে ছিলেন মল্লিকার্জ্জুন খাড়গে, একে অ্যান্টনি, অজয় মাকেন, দিগ্বিজয় সিং ও অম্বিকা সোনি। তবে, প্রশান্ত কিশোরকে কেন বৈঠকে ডাকা হয়েছিল, তা স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস হাইকমান্ড। সূত্রের খবর, পি চিদাম্বরম এবং রণদীপ সুরজেওয়ালারও বৈঠকে থাকার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁরা দুপুরের মধ্যে আসতে পারেননি।
কংগ্রেস তার একের পর এক ভরাডুবি রুখতে কিশোরের সাহায্য নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে এই জল্পনা চলছিল। দলের একটি অংশ কিশোরকে গুজরাটের নির্বাচনী প্রচারে চাইছে। কিন্তু, তিনি নরেশ প্যাটেলকে চাইছেন। নরেশ প্যাটেল শ্রী খোদালধাম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। এই খোদালধাম ট্রাস্টই রাজকোটের কাছে লেউভা পাতিদার সম্প্রদারের প্রধান দেবতা খোদিয়ারের মন্দিরের পৃষ্ঠপোষক। দলের কিছু নেতার দাবি, নরেশ প্যাটেলকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে দলের মুখ হিসাবে তুলে ধরতে চান প্রশান্ত কিশোর। অতীতে বারবার রটনা হয়েছে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। যদিও কিশোর নিজে এই খবর বারবার অস্বীকার করেছেন। তার পরও কংগ্রেস, নেতাদের একাংশ জানিয়েছিলেন, কিশোরের এই কথাই শেষ কথা নয়। ভবিষ্যতে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
গত বছরও গান্ধীদের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু, অন্যান্য দলের সঙ্গেও কিশোরের যোগসাজশ থাকায়, দলের নেতাদের একাংশ তাঁর প্রতি আস্থা রাখতে পারেননি। এমনকী, প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেসে নেওয়ারও বিরোধিতা করেছেন। পালটা কিশোরও গত ডিসেম্বরে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিরোধী নেতার পদ কোনও ব্যক্তি বা দলের ঐশ্বরিক ক্ষমতা নয়। বিশেষ করে সেই দলের তো নয়ই, যারা গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশেরও বেশি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। বিরোধী দলের নেতা কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিকভাবে নেওয়া হোক। এই কথা বলে এই ভোটকুশলী কার্যত বিরোধী শিবিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
Read story in English