'সব কা সাথ-সব কা বিকাশ', বিজেপির প্রচারে প্রায়ই উঠে আসে এই তত্ত্ব। কিন্তু, গেরুয়া বাহিনী মেরুকরণের রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরেনি। এই নিয়েই শুক্রবার কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের প্রারম্ভিক ভাষণে পদ্ম শিবিরকে নিশানা করলেন সনিয়া গান্ধী। গত কয়েক মাসের বেশ কয়েকটি হিংসার উদারহণ টেনে সনিয়ার দাবি, বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের নিশানা করছে বিজেপি। মহাত্মার হত্যাকারীকেও মহামান্বিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস সভানেত্রীর।
Advertisment
কংগ্রেস সভানেত্রী বলেছেন, 'একেবারে স্পষ্ট ও অত্যন্ত যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সহকর্মীরা প্রায়ই বলেন সর্বোচ্চ শাসন সবচেয়ে কম সরকারি হস্তক্ষেপ। এর দ্বারা আসলে কী বোঝায়? এর অর্থ দেশকে মেরুকরণের একটি স্থায়ী অবস্থায় রাখা, মানুষকে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে বাধ্য করা, সংখ্যালঘুদের নিষ্ঠুরভাবে লক্ষ্যবস্তু করা, তাদেরউপর অত্যাচার করা- যারা আমাদের সমাজের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।'
কংগ্রেসে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে সনিয়া বলেছিলেন, সংগঠনে বদল সময়ের দাবি। আমাদের কাজের ধরণ পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সংগঠনকে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঊর্ধ্বে রাখতে হবে, কারণ দল আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে এবং তা ফেরৎ দেওয়ার সময় এসেছে।'
নেতৃত্বে নতুন মুখ আনার জন্য কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সক্রিয়ভাবে সরব। দেশের প্রচীন রাজনৈতিক দলটি রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য মেয়াদ-সীমা স্থাপনের পাশাপাশি সংগঠনের সমস্ত স্তরের সব পদে থাকা এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নেতাদের বয়স-সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।