লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে জৈব অস্ত্র বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী আয়েশা সুলতানা। তাঁর বিরুদ্ধে কাভারাত্তি থানায় দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছেন খোদ দ্বীপপুঞ্জের বিজেপি সভাপতি। তারপরই প্রতিবাদে গণইস্তফা দলের নেতা-কর্মীদের। শুক্রবার আয়েশার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বেশ কিছু বিজেপি নেতা-কর্মী ইস্তফা দিয়েছেন। পদত্যাগ পত্রে দলীয় কর্মীরা সভাপতির অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
তাঁদের বক্তব্য, দ্বীপপুঞ্জের মানুষের হয়ে সরব হয়েছেন আয়েশা। অভিনেত্রীর এবং তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকী বিজেপির অনেকেই প্রশাসক প্রফুল প্যাটেলের অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী নীতির বিরোধী। ইস্তফা দেওয়ার তালিকায় রয়েছেন রাজ্য সম্পাদক আবদুল হামিদ মুল্লিপুরা, ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য উম্মুল কুলুস পুতিয়াপুরা, খাদি বোর্ডের সদস্য় সইফুল্লা পাক্কিয়োড়া, চেতলাত শাখার প্রধান জাবির সালিহাত মানজিল-সহ একাধিক নেতা-কর্মী।
মুসলিম অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপে গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা, দুই সন্তানের অধিক অভিভাবকের নির্বাচনে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং জমি অধিগ্রহণ নীতিতে পরিবর্তন নিয়ে সোচ্চার দ্বীপপুঞ্জের বিজেপি নেতা-কর্মীরাও। লাক্ষাদ্বীপে প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই করোনা সংক্রমণ বেড়েছে বলে অভিযোগ। কয়েক দিন দ্বীপের মানুষরা সেভ লাক্ষাদ্বীপ ফোরামের ছাতার তলায় ১২ ঘণ্টার অনশন প্রতিবাদ করেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মালয়ালম চ্যানেল মিডিয়াওয়ান টিভিতে লাক্ষাদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়েশা বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ বিজেপির। সেখানে প্রফুল খোড়া প্যাটেলকে জৈব অস্ত্র বলে কটাক্ষ করেন আয়েশা। তারপরেই প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। কেরালাতেও বিজেপি আয়েশার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
একজন চলচ্চিত্র জগতের সদস্য হিসাবে লাক্ষাদ্বীপে একাধিক সংস্কার এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়েছেন আয়েশা। দ্বীপপুঞ্জ এবং প্রতিবেশী রাজ্য কেরালাতেও বিদ্বজ্জন-নাগরিক সমাজে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ফেসবুকে তিনি নিজের মন্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে লিখেছেন, “আমি টিভি চ্যানেল বিতর্ক অনুষ্ঠানে জৈব অস্ত্র কথাটা ব্যবহার করি। আমার মনে হয়েছে, প্যাটেল এবং তাঁর সিদ্ধান্তগুলি জৈব অস্ত্রের সমান। প্যাটেলের কারণেই লাক্ষাদ্বীপে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। আমি প্যাটেলকে জৈব অস্ত্র বলেছি, কেন্দ্র বা দেশকে বলিনি। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। এছাড়াও ওনাকে আর কী বলব।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন