নিরাপত্তা রক্ষীদের কড়া নজরে বেশ কিছুদিন শান্ত ছিল ভূস্বর্গ। তবে, সেটা আপাতত। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করায় কাশ্মীরে অশান্তি বাড়বে। এমন আশঙ্কা আগে থেকেই করছিলেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। সেই আশঙ্কা রবিবার সত্যি বলে প্রমাণিত হল। গ্রেনেড হামলায় কেঁপে উঠল কাশ্মীর উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শ্রীনগর।
হামলায় এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকর্মী-সহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। যার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। যে আমিরা কাদাল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি বেশ জনবহুল। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় ছিল আরও বেশি। তার মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাই, এত বেশিসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন বলে মনে করছে প্রশাসন।
এই ব্যাপারে সেন্ট্রাল কাশ্মীরের ডিআইজি সুজিত কুমার বলেন, 'আহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।' এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কাশ্মীরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জঙ্গি সীমান্তের ওপার থেকে প্রবেশ করেছে। আরও বহু জঙ্গি সীমান্তের ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিভিন্ন জঙ্গিশিবিরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম মহম্মদ আসলাম মাকদুমি। তিনি শ্রীনগরের নাইদকাদাল এলাকার বাসিন্দা। আহত অবস্থায় তাঁকে এসএমএইচএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রফিয়া বলে আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরও শরীরের বহু জায়গায় আঘাত লেগেছে। আহতদের মধ্যে ১২ জন মহিলা। হামলার পিছনে কে বা কারা, জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার।
আরও পড়ুন- ১০২টি পুরসভার চেয়ারম্যান ঠিক করতে মঙ্গলবারই বৈঠকে তৃণমূল
হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। তিনি নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন। টুইটে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
Read story in English