আগামি ৬ এপ্রিল অসমে তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোট গ্রহণ। এনআরসি এই রাজ্যে ভোটের অন্যতম বড় ইস্যু। পাশাপাশি বড়ো চুক্তি প্রণয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা বিজেপি সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শনিবার অসমের বাক্সার এক জনসভায় অস্ত্র ফেলে সন্ত্রাসবাদীদের ফিরতে আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। বাক্সার টামুলপুরে তিনি দাবি করেন, ‘কোনও রকম বিভেদ ছাড়া সমাজের সব শ্রেণির জন্য আমরা নীতি প্রণয়ন করেছি। গত পাঁচ বছরে অনেক ঝুলে থাকা সমস্যার সমাধান হয়েছে। অসম চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বিজেপি।
এদিন তিনি মেরুকরণ প্রশ্নে নাম না করে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্য যে যারা সমাজকে ভাগ করছে আর একটা বিশেষ শ্রেণির উন্নয়নে নজর দিয়েছে, তারাই আজ ধর্মনিরপেক্ষতার স্লোগান দিচ্ছে। আর বিজেপি সব শ্রেণির উন্নয়নে কাজ করে, তাদের কাছে সাম্প্রদায়িক হয়ে গিয়েছে।‘
এদিকে অসমের পাশাপাশি বাংলায় ভোট প্রচার করেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয় দফার ভোটের আগে শনিবার বাংলার দুটি আসনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার প্রথম সভাটি ছিল হুগলির হরিপালে। দ্বিতীয় সভা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর দক্ষিণে। হরিপালের সভায় সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘সিঙ্গুরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন দিদি।‘
নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘খেলার মাঠে কোনও খেলোয়াড় যদি আম্পায়ারের দিকে আঙুল তোলে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের ত্রুটি আছে। আসলে তাঁর খেলা শেষ।‘ এদিনও হরিপালের সভায় মোদির গলায় ছিল সেই চেনা ‘দিদি ও দিদি’ সুর।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনার হার নিশ্চিত। আপনি স্বীকার করুন। হুগলির মানুষের আওয়াজ শুনুন। নির্বাচন খেলা নয়, গণতন্ত্র খেলা নয়, গণতন্ত্র মানুষের সেবার পথ। মানুষের উন্নতির পথ। আপনি সবই ভুলে গিয়েছেন। বাংলার লোকের সঙ্গে তাই বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
এই সভায় টেনেছেন তারকেশ্বর, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট প্রসঙ্গও। এক্সময় হুগলি শিল্পসমৃদ্ধ জেলা ছিল। এদিন এই দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার ভাষা, দই ও মিষ্টির এত স্বাদ। তাও দিদির মধ্যে এত তিক্ততা কেন? কটাক্ষের সুরে এই প্রশ্ন করেন নরেন্দ্র মোদী।