ত্রিপুরায় সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মডেল আসলে কী? পড়শি রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে সেটাই তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বললেন, 'দেশের দুই রাজ্য তেলেঙ্গানা ও বাংলায় পরিবারবাদ ও তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। সেটাই এবার বিজেপি উপড়ে ফেলবে।'
এদিন আগরতলায় প্রচার করেছেন মমতা ও অভিষেক। পাঁচ কিমি পদযাত্রা শেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, সবুজশ্রী, সমব্যাথীর মতো প্রকল্পগুলোর ফিরিস্তি ত্রিপুরাবাসীর সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন মডেলই ত্রিপুরার দুর্দশা ঘোচাবে। ডবল ইঞ্জিন দিল্লি ডোবাচ্ছে, সরকার দেশে রেশন বন্ধ করে দেবে, বেকারি ঊর্ধ্বমুখী করেছে।
মঙ্গলবারই পড়শি রাজ্যে প্রচারে ঝড় তোলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা। ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার বজায় রাখার আবেদন জানান তিনি। মমতার দাবিকে ভোঁতা প্রমাণে বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকারের স্বরূপ তুলে ধরেন তিনি। বলেন, 'সিঙ্গল ইঞ্জিনের ঝুঁকি অনেক বেশি। মবাংলাপ মানুষ হেড়ে হেড়ে টের পাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা পান না। কারণ সেখানে প্রধানমন্ত্রী কথার উল্লেখ রয়েছে। গোটা দেশ আয়ুষ্মানের সুবিধা ভোগ করলেও ওই রাজ্যের মানুষ তা থেকে বঞ্চিত। গত ১১ বছরের শিল্প হয়নি, টাটাকে সিঙ্গুর থেকে তাড়ানো হয়েছে। একটা নতুন বন্দর, রেলপথ হয়নি। এসবের নেপথ্যে রয়েছে সিঙ্গল ইঞ্জিন ও ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা।'
এরপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, 'তেলেঙ্গানা ও বাংলায় পরিবারবাদ চলছে। সেগুলোকে আমরা উপড়ে ফেলবো। মনে রাখবেন সব কা সাথ সব কা বিকাশই একমাত্র লক্ষ্য মোদীজির সরকারের।'
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'ডবল ইঞ্জিনের বাইরে কেউ ভোট দেবেন না। করোনার মধ্যেও যে উন্নয়ন ত্রিপুরায় হয়েছে তা নজিরবিহীন।'
আরও পড়ুন- ‘ভাগ্যিস বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিল অভিষেক, নইলে বেঁচে ফিরত না’, ভয়ঙ্কর ‘তথ্য ফাঁস’ মমতার