এতদিন যা হয়েছে, হয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোয় দল ভালো ফল করতে মরিয়া। সেজন্য উদয়পুরে কংগ্রেসের তিন দিনের চিন্তন শিবিরে বিস্তর চিন্তাভাবনা হয়েছে। মতপ্রকাশ করেছেন বক্তারা। তার মধ্যে একটা ব্যাপারে নেতৃত্ব একমত। তা হল, দলে তপশিলি জাতি-উপজাতি, অনগ্রসর ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ বাড়াতে হবে। দলে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন বিভাগীয় কমিটি এমনটাই দাওয়াই দিয়েছে।
এই কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন খোদ কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সুতরাং, প্যানেলের সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রীরই সিদ্ধান্ত। শনিবার, দলের তরফে এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কে রাজু। এখন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিলেই প্যানেলের মতামত কার্যকর হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর তৈরি প্যানেলের সিদ্ধান্ত যে আর ওয়ার্কিং কমিটি ফেরাবে না, তা নিয়ে দলে কোনও দ্বিধা নেই।
রাজু সঙ্গে জানিয়েছেন, কংগ্রেসের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ক্ষমতায়ন বিভাগীয় কমিটি আরও একটা প্রস্তাব দিতে চলেছে। তা হল, দলনেত্রীর জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার পরামর্শদাতা কমিটি গঠন। এই কমিটির কাজ হবে সামাজিক ন্যায়বিচার সংক্রান্ত বিষয়ে নজর রাখা। আর, সেই অনুযায়ী দলের সভানেত্রীকে সুপারিশ আকারে পরামর্শ দেওয়া।
আরও পড়ুন- পুরনির্বাচনেও ছাড় নেই, ভোট আসলেই এখানে জেগে ওঠেন শিবাজি, ঔরঙ্গজেব
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাবর্তনের পিছনে বহুজন সমাজ পার্টিকে খোলাখুলি দায়ী করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বহুজন সমাজ পার্টি আরও একটু সক্রিয় হলে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ ফের ক্ষমতায় ফিরতে পারতেন না। বিজেপি জিততে পারত না। রাহুলের সেই বক্তব্যের সূত্র ধরেই তিন দিনের 'নবসংকল্প চিন্তন শিবির'-এ উঠে এসেছে সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা।
সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক সূত্র মেনে তপশিলি জাতি, উপজাতি, অনগ্রসর এবং মুসলিম ভোটব্যাংকে নজর দিতে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই জন্য দলে এই সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চান কংগ্রেস নেতারা। আর, বহুজন সমাজ পার্টির মতো অন্য দলের ভরসায় না-থেকে আত্মশক্তিতে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াতে চায়। এমনই দাওয়াই দিয়েছেন দলের সভানেত্রী। সেই আত্মশক্তির স্বার্থেই সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্যানেল কমিটি চিন্তাভাবনা করছে বলেই রাজু জানিয়েছেন।
Read story in English