সংসদে বিরোধীদের রণকৌশল নির্ধারণের বৈঠকে যোগ দিল না তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। বদলে তৃণমূল সাংসদদের দেখা গেল আলাদা অবস্থান তুলে ধরতে। সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে বিক্ষোভ দেখাতে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জিএসটির প্রতিবাদে লেখা প্ল্যাকার্ড। কিন্তু, এতে বিরোধী শিবিরে ফাটল স্পষ্ট ধরা পড়ল বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।
বুধবার বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করার জন্য বৈঠকটি ডেকেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যসভার ১৯ জন সাংসদ এবং লোকসভার চার সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও রয়েছে। এর প্রতিবাদে বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করতে এই বৈঠক ডেকেছিলেন খাড়গে। কিন্তু, সেই বৈঠকই এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদরা। কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, এর ফলে বিরোধীদের একজোট হয়ে প্রতিবাদের কৌশল ধাক্কা খেল।
আরও পড়ুন- ফার্মহাউস ছিল আস্ত ‘যৌনপল্লি’! পলাতক সেই বিজেপি নেতা গ্রেফতার যোগীর রাজ্যে
তবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি যোগ না-দিলেও বিরোধীদের এই বৈঠকে ডিএমকে, আরজেডি, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, শিবসেনা, আরএলডি, এমডিএমকে, আইইউএমএল, আরএসপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স যোগ দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জানিয়ে দিয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা নিরপেক্ষ অবস্থান নেবে। ভোটদান থেকে বিরত থাকবে। সূত্রের খবর, একই অবস্থান নিতে চলেছে আম আদমি পার্টিও। এই পরিস্থিতিতে এই দুই দলের নেতাদেরকেও বুধবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। মঙ্গলবারই দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সেকথা জানিয়েছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তিনি বলেন, 'আমাদের দায়িত্ব সবাইকে ডাক দেওয়া। দেখা যাক কে আসবে আর কে আসবে না। যদি তারা ভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে থাকেন, সেটা আলাদা কথা। আমার কর্তব্য হল, আমরা সবাই যাতে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে পারি, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা। সংখ্যাটা বড় ব্যাপার নয়। আপনি কীভাবে মানুষের সমস্যা তুলে ধরছেন। তারা কীভাবে বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করছে, এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ।'
Read full story in English