গোয়া জয়ের লক্ষ্যে কোমর বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সৈকত রাজ্যে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। আর নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ভোট সেনাপতি করে পাঠানো হল আরব সাগরের তীরের রাজ্যে। দলের তরফে এমন গুরুদায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত মহুয়া।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরা ও গোয়ার দিকে নজর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। দুটোই বিজেপি শাসিত রাজ্য। আগামী মার্চে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট এই রাজ্যে। গোয়ার মতো রাজ্যে ভোটে জেতার লক্ষ্যে ইংরাজিতে সুবক্তা, স্মার্ট রাজনীতিবিদ মহুয়ার উপরই ভরসা রেখেছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে শান্তিপুরে বিধানসভা উপনির্বাচনে দলের দায়িত্বে ছিলেন মহুয়া। এই বিধানসভায় গত এপ্রিলের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু উপনির্বাচনে এই আসন হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। ঘাসফুল ফুটিয়ে প্রায় ৬৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। শান্তিপুরের ভোট সেনাপতি মহুয়ার পারফরম্যান্স দেখেই তাঁকে গোয়ায় পাঠানোর নেপথ্য কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অক্টোবরের শেষে গোয়ায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বেশ কয়েকটি সভায়ও করেন। ডেরেক ওব্রায়েন, সৌগত রায়ের মতো দলের প্রথম সারির নেতারা গোয়ায় নিয়মিত যাওয়া-আসা করছেন। সংগঠনের ভিত তৈরি করতে কোনও কসুর রাখছে না তৃণমূল। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও গোয়ায় প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন তৃণমূলের নজরে গোয়া, ঘাস-ফুলের টিকিটে রাজ্যসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
মমতার গোয়া সফরে তৃণমূলে যোগ দেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ, নাফিসা আলির মতো ব্যক্তিত্বরা। তাঁরাও প্রচারের কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই আজই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করেছে তৃণমূল। এর থেকেই স্পষ্ট গোয়ায় ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই এবার মহুয়াকে ভোট সেনাপতি করে পাঠাল তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন