ফের খবরের শিরোনামে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। কয়েকদিন আগে লোকসভায় কেন্দ্রকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণের পর কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস এনেছেন তিন বিজেপি সাংসদ। এবার শনিবার বাড়ির সামনে আধাসেনার কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে দিল্লি পুলিশকে চিঠি লিখলেন সাংসদ। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি মোটেও নিরাপত্তা চাননি। তাহলে তাঁর বাড়ির বাইরে সশস্ত্র আধাসেনা কী করছে?
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, "যেন কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছি। এত সশস্ত্র বাহিনী বাড়ির বাইরে থেকে আমার গতিবিধি নজরে রাখছে। নিজেকে নজরদারির ঘেরাটোপে মনে হচ্ছে।" বারাখাম্বা রোড থানার শীর্ষ আধিকারিককে চিঠিতে একথা লিখেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি দিল্লি পুলিশের কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তবকেও মার্ক করেছেন। তিনি আরও লিখেছেন, "বারাখাম্বা থানার এসএইচও শুক্রবার আমার বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন। সন্ধে ৬.৩০ নাগাদ। তিনি চলে যাওয়ার পর রাত ১০টা থেকে তিনজন বিএসএফের সশস্ত্র অফিসার অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে আমার বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন। অবিলম্বে তাঁদের প্রত্যাহার করুন।"
তিনি থানার আধিকারিককে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, কারও গোপনীয়তা রক্ষা করা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। অন্য ভারতীয় নাগরিকদের মতো তাঁরও ব্যক্তি স্বাধীনতা রয়েছে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী। এরপর সশস্ত্র রক্ষীদের ছবি টুইট করে তিনি লিখেছেন, "আমাদের বীর তরুণরা বিএসএফে যোগ দেন দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য, কিন্তু তাঁদের বাড়ির বাইরে দারোয়ানের মতো দাঁড় করিয়ে রাখা মূর্খামি। তাই নয় কি?"
সংসদের বাইরে তিনি সংবাদমাধ্যমকেও একই কথা বলেন। জানান, "সশস্ত্র বাহিনী দেশের নাগরিকদের রক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন। কিন্তু আমাকে রক্ষার জন্য ওঁদের সময় নষ্ট করবেন না। সবাইকে রক্ষা করুন। আমার কোনও বিশেষ ব্যবস্থা চাই না, আমার নিরাপত্তাও চাই না। যদি আমার উপর নজরদারি করতে হয়, তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করুন, আমি বলে দেব। ভারতের গণতন্ত্র এমনিতেই প্রশ্নের মুখে, রাশিয়ার গুলাগে রয়েছি এমনটা মনে করাবেন না।"