উত্তর পূর্বের রাজ্য মেঘালয়ে হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ শান্তা ছেত্রী।
কোনও সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কি না, তা নির্ধারিত হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মোট জনসংখ্যার উপর। তাই যে রাজ্যগুলিতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু, সেই রাজ্যগুলিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ নম্বর ধারার মাধ্যমে তাঁদের সংখ্যালঘু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, লক্ষদ্বীপ, লাদাখ ও কাশ্মীরে হিন্দুদের জন্য সংখ্যালঘু মর্যাদা চাওয়ার আবেদনে সুপ্রিম কোর্টকে সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই দাবির ভিত্তিতেই শুক্রবার রাজ্যসভায়, মেঘালয়ের হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
এ দিন জিরো আওয়ারে ছেত্রীর দাবি, যদি হিন্দুরা একটি নির্দিষ্ট রাজ্যে সংখ্যালঘু হয়ে থাকে তবে তাঁদের সংবিধান দ্বারা সংখ্যালঘুদের প্রদত্ত অধিকারগুলি প্রদান করতে হবে। সংখ্যালঘুদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তা পরিচালনার অনুমতি দেওয়া উচিত।
শান্তা ছেত্রী বলেন, 'আমি বিনীতভাবে এই সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অনুরোধ করছি যাতে মেঘালয় সরকার ভারতীর সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ ধারা অনুসারে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই রাজ্যে বসবাসকারী হিন্দুদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার জন্য অবিলম্বে নির্দেশ দেয়।'
২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র সরকার 'ইহুদিদের' সেই রাজ্যে সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও, কর্নাটক সরকার উর্দু, তেলুগু, মালয়ালম, তামিল, মারাঠি, টুলু ইত্যাদিকে রাজ্যের ভাষাগত সংখ্যালঘু হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, আবেদনকারীর যুক্তি যে ইহুদি, বাহাই এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, যারা লাদাখ, মিজোরাম, লক্ষদ্বীপ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পঞ্জাব, অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত সংখ্যালঘু, তারা ২৯ ও ৩০ ধারার অধীনে সংখ্যালঘুদের অধিকার পেতে পারেন না, তা সঠিক নয়। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক হলফনামায় জানায় যে, 'যেহেতু রাজ্যগুলিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলিকেও চিহ্নিত করতে পারে, তাই আবেদনকারীর অভিযোগ ইহুদি, বাহাই এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা, যারা লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব এবং মণিপুরে প্রকৃত সংখ্যালঘু, তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না, তা ঠিক নয়। রাজ্য সরকারগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্য স্তরে সংখ্যালঘু চিহ্নিতকরণের জন্য নির্দেশিকা নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।'
Read in English