Advertisment

বাংলা আকাদেমির মমতা বন্দনাকেও টেক্কা ত্রিপুরার, বিপ্লব দেবকে মনীষীর আসনে বসালেন মন্ত্রী

২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রতনলাল নাথ তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
biplab deb

সপ্তাহখানেক আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন বিপ্লব দেব। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দলের নির্দেশে সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করেছেন বিপ্লব। তার মধ্যেই ফের বিতর্ক বিপ্লবকে ঘিরে। অতীতে হিন্দুত্ববাদী নেতাদের ধাঁচে অবাস্তব সব মন্তব্য করে বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে পৌঁছেছেন বিপ্লব দেব। এবার অবশ্য তাঁকে ঘিরে বিতর্কের পিছনে ত্রিপুরার এক মন্ত্রী রতনলাল নাথ। যিনি বিপ্লবকে মনীষীদের সঙ্গে একাসনে বসিয়েছেন। তুলনা টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দ ও অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতো বিশ্বখ্যাত মনীষীদের সঙ্গে। যা শোনার পরই ত্রিপুরাজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মন্ত্রীর সঙ্গেই সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও।

Advertisment

আগরতলা থেকে ৯৩ কিলোমিটার দূরে কমলপুরে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রতনলাল নাথ বলেন, 'আমি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করছি। গত ২৯ বছর ধরে বিধায়ক। আরও ২০ বছর ধরে রাজনীতি করেছি। আমি ত্রিপুরার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিং থেকে শুরু করে সবাইকে দেখেছি। বিপ্লব দেবকে আপনি জনগণের নেতা বলতে পারেন। তিনি ব্যতিক্রম। তিনি রাজ্যকে একটি নতুন দিক নির্দেশ করেছেন। ত্রিপুরাকে একটি নতুন স্বপ্ন উপহার দিয়েছেন।' ২০১৮ সালে বিজেপি ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রতনলাল নাথ তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপরেই বিতর্ক বাড়িয়ে নাথ বলা শুরু করেন, 'বহু মানুষ আছেন, যাঁরা মনুষ্য জন্মকে সার্থক করেছেন। যেমন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, বিবেকানন্দ বা আইনস্টাইন। সবাই সর্বত্র জন্মাননি। ত্রিপুরার জন্য এটা ভালো যে বিপ্লবকুমার দেব এখানে জন্মেছেন।'

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় নমাজপাঠ, মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধ, কৃতিত্ব দাবি যোগীর

রতনলাল নাথের এই মন্তব্যে স্বভাবতই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু, তারপরও বিষয়টি নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করতে রাজি হননি ত্রিপুরা বিজেপির শীর্ষ নেতত্ব। কারণ, আচমকা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবের অপসারণ দলের অনেক নেতা-কর্মীই ভালো চোখে দেখেননি। সেই কারণে, রতনলাল নাথের অতিকথনকেও কার্যত হজমই করে নিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির শীর্ষ নেতারা।

Read full story in English

biplab kumar deb Rabindranath Tagore tripura
Advertisment