/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/tmc.jpg)
ত্রিপুরায় রাজ্য কমিটির বড় দায়িত্বে বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী।
ত্রিপুরাতে রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল বাংলার শাসকদল তৃণমূল।
উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে দলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে সুবল ভৌমিককে। ইন-চার্জ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সে রাজ্যের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আশিস লাল সিং-কে দলের রাজ্য কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কোর কমিটিতে রয়েছেন মোট ৬ জন সদস্য। আশিস লাল সিং বাদে বাকি পাঁচ জন হলেন, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক, আশিস দাস, ভৃগুরাম রিয়াং ও মামন খান।
শুক্রবার তৃণমূলের তরফে ঘোষিত ত্রিপুরার রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন ৮ জন সহ সভাপতি ও ৫ জন সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও ১৪ জন সম্পাদক। যুগ্ম সচিব ৭ জন। এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য করা হয়েছে ৩৯ জনকে।
The All India Trinamool Congress under the inspiration and guidance of Hon’ble Chairperson Smt. @MamataOfficial is pleased to announce the Tripura Pradesh Trinamool Congress State Committee. pic.twitter.com/fryPnNAyaR
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) April 29, 2022
রাজ্যে কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন মহিলা সদস্য, ১৬ জন তফসিলি জাতি এবং ১৮ জন তফসিলি উপজাতির প্রতিনিধি। অনগ্রসর শ্রেণির ৩২ জনকেও ঠাঁই দেওয়া হয়েছে কমিটিতে। এছাড়াও রয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ১৪ জন প্রতিনিধি।
বাংলার বাইরে দলকে বিস্তারে মরিয়া মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের পাখির চোখ দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের বাঙালি ওধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই সেখানে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একাধির দলীয় কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সফর ঘিরে গন্ডোদোলও ছড়ায়। যা নিয়ে শাসক বিজেপিকে বিঁধেছিলেন অভিষেক। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ২০২৩ সালে ত্রিপুরার শাসন ক্ষমতা থেকে পদ্ম শিবিরকে সরাবে জোড়া-ফুলই। সেই লক্ষেই পোক্তভাবে অগ্রসর হতে এবার ত্রিপুরায় দলের রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল তৃণমূল। সংগঠন বিস্তারের দায়িত্ব দেওয়া হল কংগ্রেস সহ বহু দল ঘুরে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিকে।
আরও পড়ুন-রাজ্য কমিটি ঘোষণা হলেও তৃণমূলে তুঙ্গে ভাঙন আতঙ্ক, পথ প্রশস্ত তিপ্রা মথার!
আগরতলার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জিতে ত্রিপুরায় খাতা খুলেছিল তৃণমূল। জিতেছিলেন জোড়া-ফুলের প্রার্থী সুমন পাল। তবে মাস পাঁচেকের মধ্যেই ঘাস-ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তিনি। সেরাজ্যে বিগত কয়েক মাস ধরে যাননি অভিষেকও। ফলে থমকে তৃণমূলের আন্দোলন। নেতৃত্বও কার্যত নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন। উঠে আসছিল গোষ্ঠী কোন্দলের খবর। রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে ক্ষোভ তুলে ধরেছিলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা প্রাক্তন বিধায়ক আশিস দাস। নয়া রাজ্য কমিটিতে তাঁকে কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে।
কমিটিতে ঠাঁই হয়েছে। কিন্তু, তাতে কী চাপা ক্ষোভ কমবে। ত্রিপুরার সংগঠন নিয়ে সেটাই এখন বড় মাথা ব্যথা হতে পারে বাংলার শাসক দলের সামনে।