ক্রমশ বাড়ছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির টানাপোড়েন। যা কিছু সময় আগেও ছিল স্রেফ দলের একাংশের বিদ্রোহ। সেই লড়াই এখন শিবসেনার তকমা কার হাতে থাকবে, সেই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের নেতা মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেনার ৪০ বিধায়ক। শুধু তাই নয়, তাঁকে সমর্থন করছেন আরও ১০ নির্দল বিধায়ক।
শিন্ডের এই দাবি সত্যি হলে, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে তাঁর ও বিজেপির অসুবিধা হবে না। শুধু তাই নয়। শিন্ডেকে বহিষ্কার করা দূর। তিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার নেতা হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়ে যাবেন। যা উদ্ধব ঠাকরের পক্ষে ভালো নয়। কারণ, সেক্ষেত্রে উদ্ধব না-চাইলেও, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনার কর্তৃত্ব থাকবে পুরোপুরি শিন্ডের হাতে।
প্রশ্ন উঠবে, প্রকৃত শিবসেনা আসলে কে? তিনি কি বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ও নাতি আদিত্য ঠাকরে? নাকি বালাসাহেবের আদর্শ বহন করার দাবি করে চলা একনাথ শিন্ডে ও তাঁর সমর্থকরা? বিজেপি ইতিমধ্যেই দাবি করছে, বালাসাহেব কখনও কংগ্রেসকে সমর্থন করতেন না। তিনি নিজেকে একথা বলেছেন। বালাসাহেব জানিয়েছিলেন, যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করতে হয়, তবে তিনি শিবসেনাই তুলে দেবেন। বাল ঠাকরের সেই বক্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব ছড়ানো শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ‘বিদ্রোহের আঁচ পেলেন না কেন?’, বাড়ি ডেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তুলোধনা পওয়ারের
আর, পালটা ঠাকরে পরিবারের বাসভবন মাতশ্রীর সামনে বাড়ছে সাধারণ শিবসৈনিকদের ভিড়। তাঁরা জানাচ্ছেন বালাসাহেবের পরিবারের সঙ্গেই আছেন। শিন্ডে আসলে বিশ্বাসঘাতক।
অসমের হোটেলে বিজেপির নিরাপত্তায় বিধায়কদের নিয়ে বসে তিনি যতই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করুন না-কেন? শিন্ডে নিজেও কিন্তু পরিস্থিতি ভালোই বুঝতে পারছেন। আর, সেই কারণে তিনি সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে এখনও মুখ খোলেননি। সঞ্জয় রাউত ইতিমধ্যেই শিন্ডেক ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিযোগ করেছেন। তার বদলে রাউতকে আক্রমণ দূর। শিন্ডে বলেন, ‘সঞ্জয় রাউত আমাদের নেতা। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কথাই বলব না।’
Read full story in English