তিনি একনাথ শিন্ডেকে বিশ্বাস করে ভুল করেছিলেন। শিন্ডে অ্যান্ড কোং বিদ্রোহ করার পরই প্রকাশ্যে বারবার একথা বলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এবার শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতেও ধরা পড়ল উদ্ধবের সেই বিলাপ। সামনায় এক সাক্ষাৎকারে উদ্ধব বলেছেন, 'উচ্চাকাঙ্ক্ষার দানবদের চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করাই আমার ভুল হয়েছিল।' তবে, বক্তব্যে শিন্ডের নাম নেননি উদ্ধব।
শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক নিয়ে একনাথ শিন্ডে এখন বিজেপির সঙ্গে মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছেন। নিজেদের প্রকৃত শিবসেনা দাবি করেছেন শিন্ডেরা। কেন্দ্রে এবং মহারাষ্ট্র বিজেপি ক্ষমতায় থেকে শিন্ডেদের মদত দিয়ে যাওয়ায় উদ্ধব আরও সমস্যায় পড়েছেন। আদালত থেকে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েও এখনও শিন্ডেদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে সামনার সাক্ষাৎকারে উদ্ধব জানিয়েছেন, তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। সেই সুযোগেই বিদ্রোহীরা দল ভাঙার গোটা পরিকল্পনাটা সাজিয়েছে। মহারাষ্ট্রে মহাবিকাশ আগাড়ি (এমভিএ) সরকারের পতন হয়েছে। উদ্ধব জানিয়েছেন, ওই সময় তাঁর দুটো গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার হয়েছে। যে জন্য তিনি ওই সময় হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। এমনকী, দাঁড়াতেও পারছিলেন না।
আরও পড়ুন- বহুদিন পর দলের বড় কোনও কর্মসূচিতে বিপ্লব দেব, তবে ভবিষ্যৎ এখনও ধোঁয়াশাই
সেসব ঘটনাই ফিরে এসেছে উদ্ধবের সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছেন, 'সরকার চলে গেছে। পদ চলে গেছে। আমি এটা নিয়ে দুঃখ করি না। কিন্তু, আমি কষ্ট পেয়েছি কারণ আমার নিজের লোকেরা আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।' বিদ্রোহীদের পচা পাতার সঙ্গে তুলনা করে উদ্ধব বলেন, 'মহারাষ্ট্রবাসী শিবসেনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা যাঁরা করেছেন, তাঁদের শায়েস্তা করার জন্য নির্বাচনের অপেক্ষা করছেন।' সাক্ষাৎকারে বিজেপির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন উদ্ধব। তিনি বলেছেন, 'তাদের পরিকল্পনা হল শিবসৈনিকদের মধ্যে লড়াই লাগানো। শিবসেনাকে ধ্বংস করা। কাজ হয়ে গেলে তারা শুকনো পাতা (বিদ্রোহীদের) আবর্জনার বাক্সে ফেলে দেবে।'
শিবসেনার কার্যনির্বাহী সম্পাদক সঞ্জয় রাউত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই বিদ্রোহটা হল কেন? জবাবে উদ্ধব জানিয়েছেন, বিদ্রোহটা হয়েছে কারণ, তাঁরা পেশাদারি পদ্ধতিতে দলটা চালাচ্ছিলেন না। উদ্ধব বলেছেন, 'আমরা দলটাকে পরিবারের মত দেখি। বালাসাহেব আমাদের তেমনই শিখিয়েছেন। মা (প্রয়াত মিনাতাই ঠাকরে) আমাদের শিখিয়েছেন, যখন আমরা কাউকে নিজেদের বলি। তখন তারা আমাদের আপন হয়ে যান। আর, এই অপরাধ বা ভুলটাই আমরা রাজনীতিতে হামেশাই করি।'
Read full story in English