শিবসেনাকে শেষ করে দিতেই একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে এই বিদ্রোহ হয়েছে। এবার এমনই অভিযোগ করলেন শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। গতমাসে শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে এবং ৩৯ জন অন্যান্য বিধায়ক ঠাকরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। যার জেরে ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের পতন ঘটে।
শিবসেনায় অবশ্য বিদ্রোহ নতুন কিছু না। এর আগে রাজ ঠাকরের নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে। যার জের রাজ আলাদা পার্টি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা গঠন করেছেন। তারও আগে বিদ্রোহ হয়েছেন সেনার ভিতরে। নারায়ণ রানের মত একাধিক নেতা বিদ্রোহ করেছেন। কিন্তু, সেগুলো ছিল দল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য। এবার শিবসেনার অভ্যন্তরে বিদ্রোহ হয়েছে দলকে শেষ করে দেওয়ার জন্য। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের।
দলীয় কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে উদ্ধব জানিয়েছেন, শিবসেনা হিন্দুত্বের স্বার্থে রাজনীতি করে। আর, বিজেপি হিন্দুত্বকে স্রেফ ব্যবহার করে। বিজেপি নেতৃত্ব হিন্দুত্বকে ব্যবহার করে থাকে স্রেফ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে। বরাবরের মত শিবসেনার অভ্যন্তরে এবারের বিদ্রোহেও মদত দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনই অভিযোগ উদ্ধবের। তবে, এসব করে শিবসেনাকে আটকানো যাবে না। একথা মনে করিয়ে দিয়ে রবিবার দক্ষিণ মুম্বইয়ে একটি দলীয় কার্যালয়ও উদ্বোধন করেছেন উদ্ধব।
আরও পড়ুন- দ্রৌপদীর শপথ গ্রহণে অশ্রুসজল আসমুদ্রহিমাচল, ভারত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, দাবি মোদীর
গত ৩০ জন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যাপারে উদ্ধব বলেন, 'এবারের বিদ্রোহটা অন্যবারের চেয়ে আলাদা। এবার চিরকালের মত শিবসেনাকে শেষ করে দেওয়াই বিদ্রোহীদের লক্ষ্য। বিজেপির মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা আমাদের বিরোধিতা করার জন্য পেশাদার এজেন্সি পর্যন্ত ভাড়া করেছে। বর্তমানে এমন পরিস্থিত যে লড়াইটা হচ্ছে অর্থ এবং আনুগত্যের মধ্যে।'
আর দিন দুয়েক পর ২৭ জুলাই ৬২ বছরে পা দেবেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি জানান, এবারের জন্মদিনে তিনি সেনার কর্মী ও সদস্যদের থেকে উপহার হিসেবে ফুলের তোড়া চান না। তিনি চান আরও বেশি করে কর্মী। যাঁরা শিবসেনার প্রতি আস্থা রাখবে। যারা শিবসেনাকে তুলে ধরবে। উদ্ধবের কথায়, 'লড়াই এখন নির্বাচন কমিশনের কোর্টে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, তারাই প্রকৃত শিবসেনা। আমাদের শুধু প্রাণশক্তি নয়। দলের সদস্যদের দৃঢ় সমর্থন এবং নথিভুক্ত কর্মী প্রয়োজন।'
Read full story in English