কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন বিজেপির বর্ষীয়ান মুসলিম নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি। তাঁর পদত্যাগের সঙ্গেই নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় আর কোনও মুসলিম মুখ থাকল না। যখন হিন্দু বাদেও মুসলিম-সহ অন্যান্যদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব বিস্তারের কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদী, সেই সময় তৈরি হল এই পরিস্থিতি।
তবে, শুধু নাকভি নন। মোদী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন আরসিপি সিং-ও। তাঁরা রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার দুজনেরই রাজ্যসভায় সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেই কারণেই পদত্যাগ বলে নাকভি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন। পদত্যাগের পর বুধবার নাকভি বলেন, 'আমাকে তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে।' দুই মন্ত্রীই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তাঁদের পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন। পদত্যাগী দুই মন্ত্রীর মধ্যে নাকভি ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্বে। আর আরসিপি সিং ছিলেন ইস্পাতমন্ত্রী। তবে, আরসিপি সিং অবশ্য বিজেপির সদস্য নন। তিনি এনডিএ শরিক সংযুক্ত জনতা দলের (জেডিইউ) সদস্য। জেডিইউ তাঁকে এবার রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি।
আরও পড়ুন- ভোটে বিপর্যয়ের পর দলিত-ব্রাহ্মণ সৌভ্রাতৃত্বের নীতি বদল বিএসসির, অপসারিত মায়া ঘনিষ্ঠ
দুই মন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে সংবিধান কী বলে? এই ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন লোকসভার প্রাক্তন মহাসচিব পিডিটি আচারি। তিনি বলেন, 'যখন সভার কোনও সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, তাঁর মন্ত্রিত্বেরও অবসান ঘটে। তিনি ফের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতেই পারেন। তবে, তাঁকে সংসদের যে কোনও কক্ষ থেকে ছ'মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতে হবে।'
পদত্যাগের আগে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগী দুই মন্ত্রীর ভূয়ষী প্রশংসা করেন। কার্যকালে তাঁরা দেশের সেবায় যে অবদান রেখেছেন, সেই কথা মনে করিয়ে দেন। মোদী প্রশংসা করলেও নাকভিকে এবার আর রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি বিজেপি। মোদী মন্ত্রিসভায় এই নিয়ে তিনি দু'বার মন্ত্রিত্ব করলেন। আরসিপি সিংয়ের অবশ্য এটা প্রথমবারের মন্ত্রিত্বই ছিল। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও নাকভি বৈঠক করেন। কিন্তু, সেখানেও নতুন করে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে কোনও আশ্বাস হয়নি। বাধ্য হয়েই তাঁকে পদত্যাগ করতে হল।
Read full story in English