যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে যেভাবে পুলিশ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিগ্রহ করেছে তা গণতন্ত্রের গণধর্ষণের সমান। শুক্রবার এই ভাষায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বরাবর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য শিরোনামে থাকা রাজ্যসভার এই সাংসদ ফের একবার বিতর্ক বাড়ালেন। তিনি যোগী প্রশাসনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে এইভাবে হেনস্থা করা যায় না। এটা সমর্থনযোগ্য নয়।
তিনি এদিন বলেছেন, "কংগ্রেসের সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও এটা সমর্থনযোগ্য নয়। রাহুল গান্ধীকে হাথরাসে ১৪৪ ধারার জন্য আটকানো যেত, কিন্তু যেভাবে তাঁর কলার ধরে, তাঁকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।" যদিও মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জোট সরকারের সদস্য কংগ্রেস। কিন্তু চিরকালই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মতাদর্শগত বিরোধ রয়েছে শিবসেনার। সাম্প্রতিককালে বিনায়ক সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি নিয়ে রাহুলের সঙ্গে বিবাদ হয় শিবসেনার। কিন্তু তারপর মহারাষ্ট্র জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে থেকেছে দুই দল। এবার হাথরাস ইস্যুতে রাহুলের পাশা দাঁড়িয়ে যোগী প্রশাসনকে বিঁধলেন শিবসেনা সাংসদ।
আরও পড়ুন ‘নারী নির্যাতনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে’, হাথরাসকাণ্ডের আবহে কড়া হুঁশিয়ারি যোগীর
এদিন তিনি আরও বলেছেন, "এটা গণতন্ত্রের গণধর্ষণ ছাড়া আর কিছু না। এইভাবে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আচরণ করা হবে, সরকারকে কেউ প্রশ্ন করতে পারবে না? রাজনৈতিক ভাবে বরাবর রাহুলকে খোরাক করা হয়, কিন্তু যেভাবে পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করল তা মেনে নেওয়া যায় না।" শিবসেনা সাংসদের আরও দাবি, হাথরাসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নীরবতা ভাঙুন। মিডিয়াকে যেভাবে খবর সংগ্রহে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তারও নিন্দা করেছেন রাউত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন