দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের শেষ প্রচারে বংশানুক্রমিক রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার উত্তরপ্রদেশের কনৌজের সভায় তাঁর নিশানায় বিদ্ধ হল সমাজবাদী পার্টির বংশানুক্রমিক কর্তৃত্ববাদ। মোদীর কথায়, 'উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বংশবাদ ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে।' একথা বলার পাশাপাশি, গণতন্ত্রের লক্ষ্যকে পরিবারতন্ত্রের লক্ষ্য হিসেব সাজিয়ে কটাক্ষের সুরে মোদী বলেন, 'তাদের কাছে গণতন্ত্রের মন্ত্র হল, পরিবারের সরকার, পরিবারের দ্বারা সরকার এবং পরিবারের জন্য সরকার।'
কনৌজের সভার আগে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের সভায় মোদী অভিযোগ করেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব রটিয়েছে কংগ্রেস। কারণ, কংগ্রেসের মনে হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের কিছুই বলার নেই। তাই তারা বিরোধী রাজনীতিতে টিকে থাকতে করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে গুজব রটিয়েছে। সভায় দেশের প্রথম 'চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ' জেনারেল বিপিন রাওয়াতের অবমাননার অভিযোগেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন মোদী। তাঁর দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে উত্তরাখণ্ডবাসী এই অবমাননার জবাব দেবেন।
শনিবার মোদীর এই সভার আগে উত্তরাখণ্ডের রাজনীতির প্রচলিত ধারা মেনে শুক্রবার হিন্দুত্ববাদের আবেগ উসকে দিয়েছে বিজেপি। দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় এসেই তাঁরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়ার জন্য কমিটি গঠন করবেন। উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে নাগরিকদের সমানাধিকার নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সামাজিক সৌভ্রাতৃত্ব বাড়বে, লিঙ্গবৈষম্যের অবসান ঘটবে, নারী ক্ষমতায়ন ঘটবে এবং রাজ্যের সাংস্কৃতিক-আধ্যাত্মিক পরিচয় রক্ষাও সহজ হবে।
আরও পড়ুন- বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে আগ্রহই নেই পঞ্জাবের যুবশ্রেণির
বিজেপি যখন তাদের প্রচারে বংশানুক্রমিক রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে আর, হিন্দুত্ববাদের আবেগ উসকে দিতে চেয়েছে, সেই সময় দ্বিতীয় দফার আগে শেষ প্রচারে কংগ্রেসের আক্রমণের নিশানায় উঠে এসেছে দেশের মধ্য এবং নিম্নবিত্তদের প্রতি সরকারের বঞ্চনার কথা।
নির্বাচন বিধানসভার হলেও উত্তরাখণ্ডের খতিমার সভায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন। অম্বানি, আদানিদের নাম না-করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'দু'জন শিল্পপতি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু। বাজেটে তাঁরাই সব পান। আর গরিব, কৃষক, মধ্যবিত্ত, ছোট এবং মাঝারি শিল্পপতি- যাঁরা দেশের মেরুদণ্ড, তাঁদের জন্য কিছুই থাকে না বাজেটে।'
Read story in English