চড়চড় করে দাম বাড়ছে রান্নার গ্যাসের। নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। তাই নিয়ে দেশব্যাপী চরম ক্ষোভ এবার অনেকটাই জুড়ে ফেলল গান্ধী পরিবারের ভাঙা সংসার। রাজীব গান্ধীর পরিবারের হাতে কংগ্রেস। আর, সঞ্জয় গান্ধীর পরিবার কংগ্রেসে উপেক্ষিত। তাদের স্থান বিজেপিতে। সেই দিন যেন শেষ হতে চলেছে। দাদা রাহুল গান্ধীর সুরেই এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন পিলভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও। আর, সেটা রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে। যে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বুধবার দিনভর সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল।
Advertisment
বুধবার গ্যাসের দামবৃদ্ধি ইস্যুতে বরুণ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দেশে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার এখন ১০৫০ টাকা। দেশে যখন বেকারত্ব চরম পর্যায়ে তখন সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দামি এলপিজি কিনছে ভারতীয়রা। সংযোগ খরচ ১,৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২,২০০টাকা। সিকিউরিটি মানি ২,৯০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪,৪০০ টাকা। এমনকী, রেগুলেটরের দাম পর্যন্ত ১০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। গরিবের রান্নাঘর আবার ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে।'
বরুণ যখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দলের বিরুদ্ধেই এভাবে সুর চড়াচ্ছেন, সেই সময় বুধবার রাহুল লিখেছেন, '২০১৪ সাল থেকেই গ্যাস সিলিন্ডার রান্নাঘর আর সাধারণ জনতার সংগ্রামের গল্প হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালে যে সিলিন্ডার ৪১০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তার দাম ১,০৫৩ টাকা। গব্বর সিং কর (জিএসটি) দই ও পনিরের মত পণ্যের ওপরও চাপানো হয়েছে। গ্যাসের নতুন সংযোগের জন্য ২,২০০ টাকা, রেগুলেটরের জন্য ২৫০ টাকা, পাসবুকের জন্য ২৫ টাকা আর আলাদাভাবে পাইপের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। ২০২১-২২ সালে ৩.৫৯ কোটি মানুষ মুদ্রাস্ফীতির কারণে সিলিন্ডার ভরেননি। সব মিলিয়ে যে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সুদিনের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তিনিই সরাসরি জনসাধারণকে আঘাত করছেন।'
দুই গান্ধী ভাই যখন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, সেই সময় তালে তাল দিয়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কা লিখেছেন, 'আমরা দু'জন, আমাদের দু'জন সরকার তার পুঁজিবাদী বন্ধুর পকেটে প্রতিদিন ১,০০০ কোটি টাকা করে ঢুকিয়ে জনগণের কাছ থেকে ১,০৫০ টাকা আদায় করছে। বন্ধুদের ওপর দয়া আর গরিব মধ্যবিত্তের ক্ষতি মেলালে বিজেপি সরকার তৈরি হয়।'