কংগ্রেসের ক্ষয় অব্যাহত। কপিল সিব্বালের পর এবার দল ছেড়েছেন দলের পাঁচ দশকের কর্মী গুলাম নবি আজাদও। দলত্যাগীদের বেশিরভাগই চোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধীর অপরিণত নেতৃত্বকে। রাহুল নিজেও সভাপতি হতে নারাজ। এমনকী সনিয়া, প্রিয়াঙ্কাকে দলের শীর্ষ পদে বসতে দিতে চান না ওয়ানাড়ের সাংসদ। রাহুল চান গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কেউ কংগ্রেস সভাপতি হোন। কিন্তু, নেতৃত্বের দক্ষতার বদলে আবেগে ভর করেই ধনুকভাঙা পণ করেছেন সনিয়া গান্ধী ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতারা। অনুরোধে কাজ না হলে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার জন্য প্রয়োজনে চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।
কেন রাহুলকেই সভাপতি করতে মরিয়া রাজ্যসভার কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে? তাঁর কথায়, 'দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে, বিজেপি-আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বার্থে আমরা রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে ফিরতে অনুরোধ করব। ভারতকে জুড়তে রাহুলকে প্রয়োজন।' খাড়গের সংযোজন, 'রাহুল কংগ্রেসের সবচেয়ে বেশি পরিচিত মুখ। তিনি সম্মানীয় নেতা। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সর্বস্তরে দেশজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা খুব বড় বিষয়। কংগ্রেসে এখন এমন আর কোনও নেতা নেই, যে সর্বভারতীয় স্তরে রাহুলের মতো পরিচিত। কেউ পারবে এমন নেতার সন্ধান দিতে? ফলে রাহুল গান্ধীই কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।'
কিন্তু রাহুল তো নিজেই ওই পদের দায়িত্ব নিতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে খাড়গে বলেন, 'আমরা রাহুলের পাশে আছি। আমরা ওকে জোর করব। আমরা ওকে বাধ্য করব লড়াইয়ের ময়দানে ফিরতে।'
আপাতত বিদেশে সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের কথা রয়েছে। আগামিকাল, রবিবার এ নিয়ে ভার্চুল বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের পর কংগ্রেস সভাপতি পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। শত অনুরোধেও কাজ হয়নি। খাড়গেদের অনুরোধও কী ফেরাবেন রাহুল গান্ধী?