Advertisment

প্রথমবার পাঞ্জাবের কুর্সিতে দলিত নেতা, ইতিহাসে নাম লেখালেন চরণজিৎ সিং চান্নি

Charanjit Singh Channi: ক্যাপ্টেনের কথাতেই কংগ্রেসে ফেরেন চান্নি, কিন্তু সেই ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে পাঞ্জাবের পরিষদীয় দলের নেতা বেছে নিল কংগ্রেস।

ক্যাপ্টেনের উত্তরসূরী কে তাই নিয়ে রবিবার বিকেলে জল্পনার অবসান হল। রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে পাঞ্জাবের পরিষদীয় দলের নেতা বেছে নিল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে ইতিহাসে নাম লেখালেন চান্নি। প্রথম দলিত নেতা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসতে চলেছেন চান্নি।

Advertisment

রবিবার সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক তথা পাঞ্জাবের পর্যবেক্ষক হরিশ রাওয়াত সব জল্পনার অবসান করে ঘোষণা করেন, চামকৌর সাহিবের বিধায়ক হবেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের উত্তরসূরী। শনিবারই পদত্যাগ করেছেন ক্যাপ্টেন।

এদিন টুইট করে চান্নির নাম ঘোষণা করে রাওয়াত লেখেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে চরণজিৎ সিং চান্নিকে সর্বসম্মতভাবে পাঞ্জাব কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা বেছে নেওয়া হয়েছে। ক্যাপ্টেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী।

তৃণমূল স্তরের নেতা ছিলেন চান্নি। ২০০০ সালে কংগ্রেসের টিকিটে পুরভোটে জিতে যাত্রা শুরু চান্নির। ২০০৭ সালে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে নির্দল দাঁড়িয়ে জেতেন। তারপর শিরোমণি অকালি দলের সমর্থন পেয়ে মনপ্রীত বাদলের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিতি পান। মনপ্রীত বাদলও ক্যাপ্টেনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুন ক্যাপ্টেনের উত্তরসূরী হচ্ছেন চরণজিৎ সিং চান্নি, সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ

বরাবরই ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ চান্নি। সিস্টেমে বদল এনেছিলেন তিনি। নিজেই নিজের গাড়ি চালাতেন, ছিল না চালক। টোল ট্যাক্সও দিতেন, ভিআইপি সংস্কৃতির ধার ধারেননি। ২০১০ সালে ক্যাপ্টেনের কথায় ফের কংগ্রেসে ফেরেন চান্নি। তারপর দলের শীর্ষ নেতা সি পি জোশীর সংস্পর্শে আসেন। জোশী তখন রাজ্যের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ছিলেন।

চান্নি বরাবরই নিরপেক্ষ চরিত্র, দলের প্রাক্তন সভাপতি প্রতাপ সিং বাজওয়া এবং ক্যাপ্টেনের লড়াইয়ের মধ্যেও কারও পক্ষে ছিলেন না তিনি। বাজওয়াকে পদ থেকে সরানোর সময়ও মুখে কুলুপ ছিল তাঁর। ২০১৮ সালের অক্টোবরে চান্নি বিতর্কে জড়ান। এক মহিলা আইএএস অভিযোগ করেন, চান্নি নাকি তাঁকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছেন। তখন অমরিন্দর পাশে দাঁড়াননি চান্নির। প্রতিশোধে ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন চান্নি। তখন সরকারও চান্নির বিরুদ্ধে সেই যৌন নিগ্রহ মামলা ফের খুঁচিয়ে তোলে। কিন্তু ক্যাপ্টেনের হস্তক্ষেপেই মামলা থেকে রেহাই পান চান্নি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Charanjit Singh Channi captain Amrinder Singh Punjab Congress
Advertisment