সম্প্রতি তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। ক্ষোভ প্রশমনে শনিবার সন্ধ্যায় পুনের নিসর্গ মঙ্গল কার্যালয়ে কয়েকটি ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পওয়ার বৈঠক করলেন। এনসিপি নেতৃত্বে জানিয়েছেন, বৈঠকে ব্রাহ্মণ নেতৃত্বের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছেন মারাঠা নেতা।
মহারাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়। সম্প্রতি পওয়ার ও তাঁর দলের নেতাদের করা কিছু মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণরা। এই সব মন্তব্য ছত্রপতি শিবাজিকেন্দ্রিক। মারাঠা রাজনীতিতে বারবার নানাভাবে ঘুরে আসেন ছত্রপতি শিবাজি। সম্প্রতি বিভিন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিবাজির নাম মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলের নেতারা হামেশাই নেওয়া শুরু করেছেন। তার মধ্যেই পওয়ার ও এনসিপি নেতারা মন্তব্য করেছেন, 'স্বামী সমর্থ কখনও ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের গুরু ছিলেন না।' একইসঙ্গে, এনসিপি নেতারা মন্তব্য করেছেন, 'বাবাসাহেব পুরন্দরের দেওয়া তথ্যের কারণেই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মানহানি হয়েছিল।' এইসব মন্তব্য রীতিমতো ব্রাহ্মণ-বিরোধী বলেই মনে করছেন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতারা।
এসবের পাশাপাশি, এনসিপি নেতারা মন্তব্য করেছেন যে ভীমা-কোরেগাঁও সংঘর্ষে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর হাত ছিল। সঙ্গে এনসিপি নেতারা মন্তব্য করেছেন, 'আগে, ছত্রপতি পেশওয়াকে নিয়োগ করতেন। এখন পেশওয়ারা একজন ছত্রপতিকে মনোনীত করছেন৷' ব্রাহ্মণদের পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদী অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোও এনসিপির এই সব মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। এনসিপি নেতা অমল মিতকারি, ছগন ভুজওয়াল ও পওয়ার নিজে- তিন জন মিলে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রজুড়ে কুমন্তব্যের মাধ্যমে অপমান করেছেন ব্রাহ্মণদের। এমনই অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের নেতাদের।
এনসিপি নেতা অঙ্কুশ কাকাড়ের আবার দাবি, 'ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতারাই দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাঁদের কিছু বলার আছে। আমরা বলেছি পুণে অফিসে দেখা করতে।' স্বামী সমর্থর ব্যাপারে পাওয়ারের বক্তব্য প্রসঙ্গে এনসিপি নেতাদের দাবি, পাওয়ার বলেননি। যা বলার, মহারাষ্ট্র হাইকোর্টের ঔরঙ্গবাদ বেঞ্চ বলেছে। আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, স্বামী সমর্থর সঙ্গে শিবাজির দেখা হওয়ার কোনও প্রমাণ নেই।
Read in English