ঈদের দিন শান্তি বজায় রাখার জন্য দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান। কিন্তু, উৎসব উদযাপনের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই লাউডস্পিকার বিতর্ক টেনে ফের হুঙ্কার দিলেন রাজ ঠাকরে। জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশের অনুমতি না থাকলেও মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান হচ্ছে। আর তা মানা হবে না। এবার দ্বিগুণ জোরে হনুমান চলিশা পাঠ হবে।
এ দিন রাজ ঠাকরের দাবি 'ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার কোনও ধর্মীয় সমস্যা নয়, বরং একটি সামাজিক সমস্যা।' তাই মন্দির, মসজিদে লাউডস্পিকারের বিধি হাতিল করে দেওয়া উচিত।
তিনি নমাজের বিপক্ষে নন বলেও বুধবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান। বলেছেন যে, 'এটা শুধু মসজিদের কথা নয়, বেশ কিছু মন্দির আছে যেখানে বেআইনি লাউডস্পিকার চলছে। আমি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছি যে এটি একটি ধর্মীয় সমস্যা নয় বরং একটি সামাজিক সমস্যা।' ঠাকরে সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমি নমাজের বিপক্ষে নই, কিন্তু লাউডস্পিকার আর মাইকের দরকার কেন? আপনি কেন আমাদের আপনার প্রার্থনা শোনাচ্ছেন?'
ঠাকরের মতে, 'মুম্বই পুলিশ কিছু মসজিদকে লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মসজিদই অননুমোদিত। কিন্তু বেআইনি কাজ না ধরে পুলিশ নির্বিকার।।'
লাউডস্পিকার ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘন করছে কিছু মসজিদ। এমন মসজিদগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পুলিশের সমালোচনা করেছেন রাজ ঠাকরে। এমএনএস প্রধান দাবি করেছেন যে, লাউডস্পিকার বিকর্কে শুধুমাত্র তাঁর দলের কর্মীদের লক্ষ্য করা হচ্ছে। এই বিতর্কে সপ্তাহের শুরুতে তিনি হুঙ্কারের সুরে বলেছিলেন যে, মসজিদের বাইরে লাউডস্পিকার ব্যবহার অব্যাহত থাকলে এমএনসি-র কর্মীরা 'দ্বিগুণ জোরে' হনুমান চালিসা বাজবে। এ দিন ফের তার পুনরাবৃত্তি করেন রাজ ঠাকরে।
সেনা দল ঔরঙ্গাবাদে একটি বিশাল সমাবেশ করার দু'দিন পরে, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার সময় পুলিশ কর্তৃক আরোপিত শর্তাবলী লঙ্ঘনের অভিযোগে ঠাকরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ বলেছে যে, ঠাকরেকে মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে কারণ তিনি সমাবেশে উস্কানিমূলক বিবৃতি দিয়েছিলেন। পুলিশ হাজার হাজার এমএনএস কর্মীকে নোটিসও দিয়েছে।
Read in English