জমে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মহা-নাটক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মঙ্গলবার বিকেলেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। সঞ্জয় রাউত দাবি করেছিলেন যে, শিণ্ডে নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের অনেকেই গুয়াহাটি থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এরপরই তৎপরতা বেড়েছে শিবসেনার বিদ্রোহী গোষ্ঠীর। এ দিন দুপুরে সেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিণ্ডেঘোষণা করেছেন যে, তিনি ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা শীঘ্রই মুম্বই ফিরছেন। বলেছেন, 'আমরা খুব শীঘ্রই মুম্বই যা। আমরাই বালাসাহেবের শিবসেনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।'
এসবের মধ্যেই আবার মহহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাজধানীতে উড়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি। খতিয়ে দেখবেন আইনি বিষয়গুলিও।
সবমিলিয়ে মহারাষ্ট্রে উদ্ধব সরকারের পতন ক্রমশ এগিয়ে আসছে বলেই জল্পনা। শিণ্ডের নেতৃত্বে, বিজেপির সমর্থনে নয়া সরকার তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিজেপির দ্রৌপদী কৌশলে কার্যত কুপোকাত কংগ্রেস, আদিবাসী রাজ্যে দিশেহারা হাত নেতারা
এইসবের আগে এ দিন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেছিলেন যে, অসমের হোটেলবন্দি শিণ্ডে শিবিরের বেশ কয়েকজন দলীয় বিধায়ক শিবসেনার মূলস্রোতে ফিরতে চেয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন। একই সঙ্গে উদ্ধব ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের বার্তা, অসম থেকে কোনও বিধায়ক দলের মূল স্রোতে এলে তাঁকে বিদ্রোহী বলে গণ্য করা হবে না।
শিণ্ডেদের বাড়বাড়ন্ত পদ্মের উস্কানিতেই বলে দাবি সেনা নেতাদের। ফলে এ দিন বিজেপিকে বার্তা দিয়েছেন সঞ্জয় রাউত। বলেছেন, মনে রাখা প্রয়োজন যে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিরোধী নেতা এবং তাঁর দলের ১১৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। যা বড় সংখ্যা। তিনি সত্যিই কিছু ভাল কাজ করতে পারেন এবং মহারাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তিনি এটি করতেও সক্ষম। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর একটি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। কিন্তু আজ, রাজনীতিতে যা কিছু ঘটছে, তাতে ফড়নবীশকে জড়ানো উচিত নয়। বন্ধু হিসেবে ফড়নবীশকে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ যে, যদি তাঁরা জোট সরকারে ফলতে উদ্যোগী হয় তাহলে তাঁদের দল, ফড়নবীশ নিজে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম কলঙ্কিত হবে।’'