Advertisment

সিপিএমের ব্যাটন রইল সীতারামের হাতেই, পলিটবুরোতে প্রথম দলিত মুখ রামচন্দ্র ডোম

রাম নবমীতেই গরিবের রাম ডাক্তারের বিরাট প্রাপ্তি, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার তিন মুখ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Yechury gets third consecutive term as CPI(M) general secretary, Ram Chandra Dome first Dalit face in politburo

সিপিএমের ব্যাটন রইল সীতারামের হাতেই, পলিটবুরোতে প্রথম দলিত মুখ রামচন্দ্র ডোম

সিপিএমের ব্যাটন থাকল ইয়েচুরির হাতেই। কেরলের কান্নুরে ২৩তম পার্টি কংগ্রেসে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুননির্বাচিত হলেন সীতারাম ইয়েচুরি। এই নিয়ে তিনবার। পার্টি কংগ্রেসের শেষদিনে এই সিদ্ধান্ত হল। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রথম দলিত মুখ হিসাবে পার্টির পলিটবুরোতে ঢুকলেন রামচন্দ্র ডোম। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেলেন বাংলার তিন মুখ। রবিবার এই খবরে খুশির হাওয়া বঙ্গ সিপিএমে।

Advertisment

যেহেতু পলিটবুরো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদের জন্য পার্টি বয়স ৭৫ পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে, তাই এবারের পার্টি কংগ্রেসে অনেক প্রবীণ নেতা দুই কমিটি থেকেই বাদ পড়লেন। সিপিএমও এবার থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৯৫ থেকে কমিয়ে ৮৫ করল। নয়া পলিটবুরোতে ১৭ সদস্যের মধ্যে একমাত্র দলিত মুখ রামচন্দ্র ডোম। বয়সের কারণে হান্নান মোল্লা, বিমান বসু এবং এস রামাচন্দ্রণ পিল্লাইরা বাদ পড়লেন পলিটবুরো থেকে। হান্নান-বিমানরা এবার থেকে আমন্ত্রিত সদস্য হয়েই থাকবেন।

৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৭ জন নতুন মুখ। তিন জন নয়া মুখ ঢুকতেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে মহিলা সদস্যের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। বাংলা থেকে দেবলীন হেমব্রম, শমীক লাহিড়ী এবং সুমিত দে স্থান পেলেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন দেবলীনা, আদিবাসী নেত্রী। শমীক লাহিড়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক এবং সুমিত দে দুবারের নদিয়া জেলা সম্পাদক। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতেও রয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন রাহুলকে পাল্টা নিশানা মায়াবতীর, বললেন- ‘নিজের ঘর সামলাতে ব্যর্থ হয়েই…’

গোটা দেশে কেরল ছাড়া কোথাও ক্ষমতায় নেই বামেরা। তাই স্বভাবতই পার্টিতে এখন কেরল লবির রমরমা। পার্টি কংগ্রেসেও তাই হল। কেরল থেকেই পলিটবুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটে একাধিক মুখ। তবে বাংলা থেকে রামচন্দ্র ডোম পলিটবুরোতে জায়গা পাওয়ায় খুশি বঙ্গ সিপিএম।

সাতবারের সাংসদ ছিলেন গরিবের এই রাম ডাক্তার। ১৯৮৯ সালে বীরভূম থেকে প্রথম সাংসদ হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন সাংসদ। সেই বছর সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে দল বহিষ্কার করায় বোলপুরে তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়। কেন্দ্র বদলেও জেতেন রামচন্দ্র ডোম। কিন্তু ২০১৪ সালে হেরে যান। এই প্রাক্তন সাংসদই ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তৃণমূলের হামলার শিকার হয়েছিলেন। নলহাটিতে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে সংঘর্ষে মাথা ফাটে তাঁর। এবার দেখা যাক দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণ কমিটিতে স্থান পেয়ে সংগঠনের রোগ সারাতে পারেন কি না রাম ডাক্তার।

CPIM Party Congress Sitaram Yechury Ramchandra Dome
Advertisment