Yogi Adityanath meets PM Modi: শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। ভারতের সর্বাধিক বিধানসভা ও লোকসভা আসনবিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে বিজেপির প্রত্যাবর্তন হবে ২০২২-এ, না কি পালাবাদল হতে পারে? এই দোলাচলের মধ্যেই বেড়েছে সরকারের সঙ্গে শাসকদলের দূরত্ব। মন্ত্রী-বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক পরামর্শ নেওয়ার লক্ষ্যে দিল্লিতে যোগী।
গতকাল, বৃহস্পতিবার দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করলেন যোগী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন যোগী, সেই কারণেই শলা-পরামর্শ করতে তাঁর এই দিল্লি সফর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর ছিল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ভূমিকার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন যোগী। তবে আসল নাকি মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং সরকারের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের দূরত্ব কমানো নিয়েই নাকি বৈঠক করেছেন যোগী।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, অমিত শাহ যোগীকে নির্দেশ দিয়েছেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে। সরকারে সমস্ত শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব চাই। যদিও যোগী বলেছেন, শাহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তবে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহল বলছে অন্য কথা। জিতিন প্রসাদ কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই প্রমাদ গুনছেন যোগী। যেভাবে তাঁর বিরুদ্ধে দলেই মতবিরোধ তৈরি হচ্ছে, তাতে গদিরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন যোগী।
আরও পড়ুন দিল্লি সফরে শাহী সাক্ষাৎ যোগীর, ‘তিনিই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী’, জানালেন কেন্দ্রীয় নেতা
এদিকে, বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব যোগীকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, "দিল্লি আর লখনউয়ের মধ্যে দুশ্চিন্তার চিহ্ন। কোভিডের মতো উত্তরপ্রদেশ রাজনৈতিক সংক্রমণে ভুগছে। বিজেপি সরকারের আর কিছুদিনই ক্ষমতায়। মুখ্যমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন। যেভাবে দিল্লি আর লখনউয়ের মধ্যে দুশ্চিন্তার চিহ্ন প্রকট হচ্ছে তাতে বড় বিপর্যয়ের সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে। সরকার ব্যর্থ আর দিল্লি ছুটছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষ সব সত্যি জানে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন