আপনাদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চটি বইতে ওস্তাদ ছিলেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের চটি বইতে বেশি স্বছন্দ ছিলেন পুদুচেরির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ভোটমুখী দক্ষিণের সেই রাজ্যে গিয়ে এভাবেই ভি নারায়ণস্বামীকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রীর। সম্প্রতি আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ কেন্দ্র শাসিত ওই রাজ্যের কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকার। পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তারপর সেভাবে কোনও দিল সরকার গঠনে এগিয়ে না আসায় রাষ্ট্রপতি সাশনের সুপারিশ করেন উপ-রাজ্যপাল টি সৌন্দর্যরাজন। সেই সুপারিশ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। এই আবহে এদিন সেই রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পূর্বতন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রাধান্য ছিল অন্য। জনসেবার চেয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সেবা বেশি করেছে।‘ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘আপনাদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চটি বইতে ওস্তাদ ছিলেন। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের চটি বইতে বেশি স্বছন্দ ছিলেন পুদুচেরির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাই রাজ্যের মানুষের গরিবি হটানোর সময় পাননি তিনি।‘
এদিকে, ভোটমুখী পুদুচেরিতে ক্ষমতাসীন সরকারের পতনের দুদিন পরেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার পুদুচেরিতে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধনের কাজে এসে মোদী একহাত নিলেন পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে। কংগ্রেসের সংস্কৃতি মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে আছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, আগের সরকার দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তোষামোদ করতে বেশি ব্যস্ত থাকত। জনগণের জন্য কিছুই করেনি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও আক্রমণ করেন তিনি।
কয়েকদিন আগে পুদুচেরিতে এসে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাহুল গান্ধী। সেখানেই তিনি মৎস্যজীবীদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক কেন্দ্রীয় মৎস্যমন্ত্রকের দাবি জানান। এদিন সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো স্তম্ভিত। দুবছর আগেই বর্তমান এনডিএ সরকার এই মন্ত্রক তৈরি করেছে। মৎস্যক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাজেটে গত দুবছরে ৮০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ওনার কথা শুনে তো অবাক হয়ে যাচ্ছি।”
সেই সফরেই এক মৎস্যজীবী মহিলা রাহুলের কাছে তামিল ভাষায় নালিশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলেও মুখ্যমন্ত্রী একবারও এখানে আসেন না।” তামিল সেই মন্তব্য রাহুলকে ইংরাজি অনুবাদে নায়ারণস্বামী বলেন, “উনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাশে থাকার জন্য।” ভুল অনুবাদের জন্যও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন,” মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেছিলেন মানুষ ও নিজের দলের নেতাকে, কারণ দলের সংস্কৃতিই দাঁড়িয়ে আছে মিথ্যার উপর।”
মোদী এদিন আরও বলেন, “২০১৬ সালে পুদুচেরি কংগ্রেসকে ক্ষমতায় আনে অনেক আশা নিয়ে। সমস্যার সমাধান করবে বলে। কিন্তু পাঁচ বছর পরেও মানুষ হতাশ এবং একেবারেই খুশি নয়। জনগণের সরকার পায়নি কেউ। কিন্তু সরকার দিল্লির হাইকমান্ডকে খুশি করতে ব্যস্ত ছিল।”