বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদ পিনাকি মিশ্র মঙ্গলবার বলেছেন যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব আনা ভুল হয়েছে। মিশ্র জানিয়েছেন যে মণিপুরের ঘটনাগুলো 'হৃদয়বিদারক'। কিন্তু, তার জন্য অনাস্থা প্রস্তাবের প্রয়োজন ছিল না। একইসঙ্গে মিশ্র জানিয়েছেন যে মহিলাদের ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা ছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। আর, ১৭তম লোকসভায় সেটি পাশ না এটি পরিষ্কার না করলে কেন্দ্র এই বিল প্রত্যাহার করবে।
অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে অংশ নিয়ে বিজেডি সাংসদ বলেছেন যে কী করা সম্ভব এবং কী করা যেতে পারে সে সম্পর্কে প্রতিটি দলকে গঠনমূলক পরামর্শ দিতে হবে। বিজেডির লোকসভায় ১২ জন সাংসদ আছে। ইতিমধ্যেই বিজেডি অনাস্থা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। মিশ্র জানিয়েছেন যে, তাঁর দলের নেতা এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক কেন্দ্রের সঙ্গে 'অকারণে ঝগড়া করা'র রাস্তায় বিশ্বাসী নন। আর্থিক কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লাগাতার ঝগড়া করে টিকে থাকা অসম্ভব বলেও তিনি জানান। পিনাকি মিশ্র বলেন, 'এভাবে কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া করে জনগণের সেবা করা সম্ভব না। তাছাড়া, যে কংগ্রেস বিরোধিতা ছিল বিজেডির লড়াইয়ের ভিত্তি, সেই কংগ্রেসের আনা কোনও প্রস্তাবকে সমর্থন করা তাঁর দলের পক্ষে সম্ভব নয়।'
দলনেতা নবীন পট্টনায়েকের মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়ে বিজেডি সাংসদ পিনাকি মিশ্র বলেন, 'মণিপুরে নারী নির্যাতন হিসেবে আমরা যে হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখেছি, তা আমাদের কাছে নতুন নয়। এটি বিশ্বের সর্বত্র দেখা যায়। যেখানে কলহ আছে সেখানেই এমন ধরনের ঘটনা দেখা যায়। আমরা আফ্রিকার দেশগুলোতে, বুরুন্ডিতে, হুতুস এবং তুতসিদের মধ্যে এমন ঘটনা দেখেছি। আমরা রুয়ান্ডায় এসব দেখেছি। এমনকী, আমরা এসব বসনিয়া হার্জেগোভিনায় দেখেছি, সার্বিয়াতেও দেখেছি।'
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে একের পর এক জওয়ানের আত্মহত্যা, কারণটা কী?
বিজেডি নেতা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সমাজ এবং রাজনীতির কাছে মণিপুরের ঘটনাটি স্থানীয় ব্যাপার। সেই কারণে আমাদের নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। সেজন্য নবীন পট্টনায়েক বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে মহিলা সংরক্ষণ বিল আনার অনুরোধ করছেন। আর, আমি মনে করি যে এটি এমন একটি বিষয়, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করবে। ১৭তম লোকসভায় পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার পরও কেন্দ্রীয় সরকার যদি মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ না-করে, তাহলে তাদের এই বিল প্রত্যাহার করা উচিত।'