ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের জন্য হাতে এক বছরও নেই। সেসব মাথায় রেখে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দল (বিজেডি) একটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন করল। যার নাম দেওয়া হয়েছে, 'আমা ওডিশা, নবীন ওডিশা' (আমাদের ওড়িশা, নতুন ওড়িশা)। এই প্রকল্পের জন্য ৪,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেডি সরকার উপাসনালয়গুলোর সুরক্ষার দিকে নজর দেবে। ঐতিহাসিক তাত্পর্যপূর্ণ স্থানগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি গ্রামীণ পরিকাঠামো ও ডিজিটাল অ্যাক্সেসের উন্নতি ঘটাবে।
নতুন-ঘোষিত প্রকল্পটি, 'আমা গাঁও, অমা বিকাশ', (আমাদের গ্রাম, আমাদের উন্নয়ন)-এর একটি নতুন সংস্করণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আমাদের গ্রাম, আমাদের উন্নয়ন- প্রকল্পটি ২০১৭ সালে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে বিজেডির কাছে একটি 'গেম চেঞ্জার' হয়ে উঠেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওড়িশার প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অগ্রগতি ঘটেছিল। তার পরই ২০১৭ সালে নবীন পট্টনায়ক সরকার প্রকল্পটি চালু করে। যা ২০১৯ সালের ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেডিকে জয় এনে দেয়। আর, টানা পঞ্চমবার ওড়িশা বিধানসভায় ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করেছে বলেই মনে করেন বিজেডি নেতৃত্ব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেডি নেতা বলেছেন, '২০১৭ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেডির পরাজয় এবং মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপির উত্থান সত্ত্বেও, আমাদের দল ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তুমুল বিজয়ের মাধ্যমে রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছে। আমরা ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিতেও জিতেছি। আমা গাঁও, অমা বিকাশ- প্রকল্পটি সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে একটি মূল অনুঘটকের ভূমিকা নিয়েছে।'
আরও পড়ুন- হরিয়ানার বাঁধ থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত দিল্লির যমুনাতীর, শাহর দ্বারস্থ কেজরিওয়াল
বিজেডি সূত্রে খবর, দল ২০২৪ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসাধারণের 'প্রতিষ্ঠান বিরোধী' মনোভাবকে নিরপেক্ষ মনোভাবে বদলানোর জন্য নতুন-ঘোষিত প্রকল্পটিকে ব্যবহার করবে। এই নতুন প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককেও ইঙ্গিত করছে। কারণ, প্রকল্পটিতে নবীন শব্দটি যুক্ত আছে। এর আগে, বিজেডি সরকারের আগের প্রকল্পগুলো নবীনের বাবা তথা ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়কের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। সেই হিসেবে এই প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রীর নামের উল্লেখ, বিজেডির নতুন রাজনৈতিক বার্তার অংশ। নবীনের উত্থানের অংশ বলা যেতে পারে। ওড়িশায় ২০০০ সালের মার্চ থেকে রাজ্য সরকার চালাচ্ছেন নবীন পট্টনায়ক।