রাজ্যপালের শিলমোহর পড়ে গেল নভজ্যোত সিং সিধুর পদত্যাগে। এদিন সকালেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। রাজ্যপাল ভিপি সিং বাডনোর সেই পদত্যাগ অনুমোদন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে বিদ্যুৎ দফতর আপাতত নিজের কাছেই রাখবেন সিধু।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা পদত্যাগ করে চিঠি দিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সিধুর সে পদত্যাগপত্র রাজ্যপাল ভিপি সিং বাডনোরের কাছে পাঠিয়ে দেন শনিবার সকালেই।
আরও পড়ুন, বারাণসীতে আটক ডেরেক-সহ তৃণমূলের তিন সাংসদ
মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন "অমরিন্দর দিল্লি থেকে এসে পৌঁছনোর পর সিধুর পদত্যাগপত্র আজ সকালে হাতে পান। আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণের জন্য তিনি তা রাজ্যপাল ভিপিএস বাডনোরের কাছে পাঠিয়ে দেন। এর আগে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন তিনি চিঠি হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেবেন।" ওই মুখপাত্র বলেন, "একলাইনের চিঠিতে পদত্যাগ ছাড়া আর কোনও কথা লেখা ছিল না।"
অমরিন্দর সিংক সিধুকে বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব দেন। কিন্তু সে দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন সিধু। তিনি ১০ জুন পদত্যাগ পত্র জমা দেন এআইসিসি সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে। রবিবার টুইট করে তিনি এ কথা জানান। অমরিন্দর জানান, তিনি কোনও পদত্যাগপত্র পাননি। এরই প্রতিক্রিয়ায় অমরিন্দরকে সোমবার পদত্যাগপত্র পাঠান সিধু।
আরও পড়ুন, সরকার ভুল করলে শোধরানোর দায়িত্ব আদলতের, বললেন বনগাঁ পুর-মামলার বিচারপতি
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে দুজনের মধ্যেকার টানা পোড়েন আটকাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অগ্রসর হলেও তিনিও ব্যর্থ হন। সিধু পুরদফতর চান, কিন্তু অমরিন্দর তাঁকে এ ব্যাপারে নিষ্কর্মা বলে আখ্যা দেন।
পুরদফতর সিধুকে ফেরালে অমরিন্দর ক্যাবিনেট সদস্যের চাপের কাছে নতিস্বীকার করছেন বলে মনে হবে। ফলে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নেওয়াই অমরিন্দরের পক্ষে অবশ্যম্ভাবী ছিল।
সিধু রাজ্যের রাজনৈতিক ঘটনাক্রম থেকে সরেই থাকছেন। দলের অন্য কারও সঙ্গে বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না তিনি।
Read the Full Story in English