আচমকা পুণের কর্মসূচি বাতিল করলেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার। তার মধ্যেই আচমকা মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লিতে ছুটে গেলেন দুই বিজেপি নেতা। এসব নিয়ে ফের মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সমীকরণ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠল। অজিত পাওয়ার বর্তমানে মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা। তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এই ব্যাপারে শিবসেনার উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠী জোটশরিক এনসিপিতে ভাঙনের সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে। যদিও শিবসেনার একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা অজিত পাওয়ারকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। অজিত পাওয়ার যদি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান, তবে সেটা মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্য সরকারকেই শক্তিশালী করবে।
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন সেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেছেন, 'রবিবার নাগপুরে এমভিএ (মহা বিকাশ আঘাড়ির) সমাবেশে অজিত পাওয়ার আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি শীর্ষ এমভিএ নেতাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করেছেন। আমরা একই বিমানে ফিরে এসেছি। এমনকী, চারপাশে ছড়িয়ে পড়া গুজব সম্পর্কেও কথা বলেছি (এনসিপি থেকে অজিত পাওয়ারের বিচ্ছেদ সম্পর্কে)। আমরা সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী যে অজিত পাওয়ার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবেন না।' রাউত জানান, এর আগে এনসিপি বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ খারিজ করেছিলেন এনসিপিএ সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার নিজে। তেমনই একটা জল্পনা এবার অজিত পাওয়ারকে ঘিরে শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- সুদানে ধুন্ধুমার লড়াই, সেনা-আধাসামরিক বাহিনীর ভয়ংকর সংঘর্ষ, কারণটা কী?
এমভিএ সমাবেশের পরে এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে, অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন, 'আমার এনসিপি ছাড়ার খবর শুনে আমি মন খুলে হেসেছি।' আর অজিত পাওয়ারের কার্যালয় জানিয়েছে, রবিবার নবি মুম্বইয়ে হিট স্ট্রোকের কারণে ১১ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা মাথায় রেখেই অজিত পাওয়ার সোমবার পুনেতে তাঁর কর্মসূচিগুলো বাতিল করেছেন।
এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রকাশেখর বাওয়ানকুলে ও মুম্বই বিজেপির প্রধান আশিস সেলার জরুরি তলব পেয়ে দিল্লিতে ছুটে গিয়েছেন। আর, তাই নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে বাওয়ানকুলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে তাঁর সফর সম্পূর্ণই দলের প্রশাসনিক কাজের জন্য। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এর বেশি অবশ্য দুই নেতাই বিস্তারিত মুখ খুলতে রাজি হননি।