এনসিপি সভাপতি হিসেবে শরদ পাওয়ারের পদত্যাগের পর দলের সভাপতি তথা উত্তরসূরি হিসেবে শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলের নাম উঠে এল। আর, সেই নাম সুপারিশ করলেন শরদ পাওয়ারের ডানহাত বলে পরিচিত মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী ছগন ভুজবল। একইসঙ্গে শরদ পাওয়ারের ভাইপো তথা মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা অজিত পাওয়ারকে এনসিপির মহারাষ্ট্র শাখার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন ভুজবল। শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে বর্তমানে বারামতীর এনসিপি সাংসদ।
এই প্রস্তাবের পিছনে শরদ পাওয়ারের মত রয়েছে বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ, ভুজবল যা-ই করেন, পাওয়ারের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত নেন। এমনই ধারণা প্রচলিত রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। এই প্রথম কোনও এনসিপি নেতা সুপ্রিয়া সুলে ও অজিত পাওয়ারের নাম দলের শীর্ষপদের জন্য প্রকাশ্যে সমর্থন করলেন।
শরদ পাওয়ার ইতিমধ্যেই দলের প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন। আর, তাঁর উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য একটি কমিটিও নিয়োগ করেছেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য এনসিপির নেতা ও কর্মীরা বারবার অনুরোধ করেছেন, দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, পাওয়ার এখনও পর্যন্ত তাঁর অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াননি। এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ খুলেছেন ভুজবল। বুধবার সকালে বান্দ্রায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা চাই শরদ পাওয়ার তাঁর পদত্যাগ প্রত্যাহার করুন। কিন্তু, তিনি যদি এতে অনড় থাকেন, তাহলে আমি মনে করি সুপ্রিয়া সুলেকে জাতীয়স্তরে দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। আর, অজিত পাওয়ারকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।'
আরও পড়ুন- ‘নালায়ক’, মোদীকে ভয়ংকর নিশানা খাড়গে-পুত্রের, বিজেপি ফুঁসতেই কড়া পদক্ষেপ কমিশনের
এর মধ্যেই বিভিন্ন মহলে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে পাওয়ারের উত্তরসূরি চূড়ান্ত করতে এনসিপির প্রবীণ নেতারা একটি বৈঠক করেছেন। এমন খবর চাউর হওয়ার মধ্যেই এনসিপির প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল জানিয়েছেন যে বুধবার এই জাতীয় কোনও বৈঠকের পরিকল্পনাই করা হয়নি। এই ব্যাপারে প্রফুল্ল প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি কমিটির আহ্বায়ক। বৈঠক কখন হবে, আমি আপনাদের আগেই জানিয়ে দেব। আমি আপনাদের সকলকে অনুরোধ করছি, দয়া করে কোনও জল্পনা-কল্পনা করবেন না।'