রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে এনসিপির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শরদ পাওয়ার। শুক্রবার এনসিপির একটি কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতির পদ থেকে শরদ পাওয়ারের পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করা হয়। গত ২রা মে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এনসিপি শীর্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেছেন, "আমরা সর্বসম্মতভাবে তার পদত্যাগ প্রত্যাখ্যান করছি। দল চায় তিনি সভাপতি থেকে দলের রাশ নিজের হাতে রাখুন।"
Advertisment
১৯৬০ সালের পয়লা মে থেকে ২০২৩ সালের পয়লা মে পর্যন্ত লড়াইয়ের মধ্যে থাকার পর শরদ পাওয়ারের ইস্তফা ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে তার জীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠানে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন তিনি। ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপির দিকেই ঝুঁকছেন। এরকম এক পরিস্থিতিতে শরদ পাওয়ারের ঘোষণা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
যদিও অজিত পাওয়ারকে পাশে বসিয়ে এদিন পাওয়ার আরও বলেন, 'রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছি না। তবে নতুন প্রজন্মের দলকে নেতৃত্বে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। দলের প্রেসিডেন্ট কে হবেন তার জন্য একটি কমিটি গড়ার সুপারিশ আমি করেছি। তবে আমি আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি'। তবে শুক্রবার এনসিপির একটি কমিটির বৈঠকে দলের সভাপতির পদ থেকে শরদ পাওয়ারের পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করা হয়।
Advertisment
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারের ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের দু'দিন পরে, শুক্রবার গঠিত ১৮ সদস্যের কমিটি তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করার জন্য শরদ পাওয়ার ১৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এনসিপি মুখপাত্ররা পার্টির নেতা প্রফুল প্যাটেলের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেন যাতে বলা হয়েছে শরদ পাওয়ারের হাতেই দলের রাশ থাকা উচিত।
#WATCH | NCP workers raise slogans in support of NCP chief Sharad Pawar, outside the party office in Mumbai.
NCP chief Sharad Pawar announced his resignation from the post of party chief on May 2. pic.twitter.com/6FEX5UfI5U
দলের সিনিয়র নেতা প্রফুল প্যাটেল এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'রাজ্য, দল এবং দেশের এখন আপনাকে প্রয়োজন। আপনি এই দলের ভিত্তি। আপনি দেশের একজন সম্মানিত নেতা। আপনার পদত্যাগপত্র আমরা সর্বসম্মত ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, দল চায় তিনি সভাপতি পদেই আসীন থাকুন"। দলীয় সভার আগে, এনসিপি কর্মীরা মুম্বইয়ের পার্টি অফিসের বাইরে শারদ পাওয়ারের সমর্থনে স্লোগান তোলেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের পার্টি অফিসে পৌঁছেছেন।