এনডিএ-র প্রত্যেক শরিকের কেন্দ্রীয় সরকারে সম্মানজনক অংশীদারিত্ব থাকা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের শরিকরা। যদিও একে পাত্তা দিতে নারাজ পদ্ম শিবির। ফলে, শাসক জোটের অভ্যন্তরে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। সংখ্যা বিচারেই অধিকাংশ ক্যাবিনেট পদই যায় গেরুয়া দলের দখলে। প্রতিমন্ত্রী বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর বরাদ্দ করা হয় শরিকদের জন্য। যা ঘিরে এনডিএ-র মধ্যে শরিক অসন্তোষ ছিলই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা প্রবল হতেই তা তীব্র হচ্ছে। মোদী-শাহদের বার্তা দিচ্ছে শরিক দলগুলো।
এনডিএ-র শরিক বিহারে নিতিশ কুমারের দল জেডিইউ। তবে ১৯-য়ের গেরুয়া হাওয়ায় বিহারের তেমন ফলাফল হয়নি জেডিইউ-র। আপাতত তাদের ঝুলিতে ১৬টি আসন। কিন্তু, পছন্দের মন্ত্রক না মেলায় দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁর হয়নি জেডিইউ-র। তারপর ২০২০ সালের বিধানসভা ভোটেও বিজেপির থেকে কম আসন পায় নিতিশের দল। ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা নিয়ে তেমন জোড়াজুড়ির অবকাশ মেলেনি এই এনডিএ শরিকের।
কিন্তু, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই ঘুরিয়ে বার্তা দিতে শুরু করেছে জেডিইউ। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রামচন্দ্র প্রসাদ সিং। তাঁর কথায়, এনডিএ-র প্রত্যেক শরিকের কেন্দ্রীয় সরকারে 'সম্মানজনক অংশীদারিত্ব' থাকা প্রয়োজন। তাহলে কী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অংশ হতে চাইছে জেডিইউ? জবাবে রামচন্দ্র প্রসাদ সিং বলেছেন, 'এই প্রশ্ন ওঠাই উচিত নয়, এটা যোকেনও জোটের শরিকদের মধ্যেকার স্বাভাবিক বোঝাপড়া।' মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আগে শরিক দলের নেতার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে কার হচ্ছে। তবে, যেচে নয়, প্রস্তাব প্রথনে বিজেপির থেকেই আসা উচিত বলে মনে করছেন নিতিশের দলের নেতৃত্ব।
যদিও বিজেপি এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এক গেরুয়া নেতার কথায়, জেডিইউ এখন বিজেপির উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবে। বিহারের আরেক এনডিএ শরিক হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা সম্প্রতি আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের যাদবেরর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তারপরই জেডিইউ-এর এই বার্তা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন