‘অহংকারী’ ইণ্ডিয়া জোটকে মারাত্মক নিশানা মোদীর। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মণিপুর-মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, আদানি একাধিক ইস্যুতে প্রবল চাপে কেন্দ্র। এর মাঝেই গতকাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাহুলের সাজা স্থগিত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রবল চাপে রয়েছে বিজেপি। মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীরা সংসদে মোদীর বিবৃতির দাবি জানিয়ে আসছেন ক্রমাগত। এবার মোদীর নিশানায় ইণ্ডিয়া জোট। বিরোধী জোটকে ‘ঘমন্ড' বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন মোদী।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোন খামতি রাখতে চাইছে না শাসক ও বিরোধী শিবির। দল। এমন পরিস্থিতি বিরোধী জোট "ইন্ডিয়া" (I.N.D.I.A.) কে ভয়ঙ্কর আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিহারের এনডিএ সাংসদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "এই জোটকে ইণ্ডিয়া বলবেন না, এটিকে একটি অহংকারী জোট বলুন”। বিরোধীদের কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "ইউপিএ কুখ্যাত হয়ে গিয়েছিল, তাই তারা তাদের নাম পরিবর্তন করে ইণ্ডিয়া রেখেছে"। এই সময় প্রধানমন্ত্রী মোদি এনডিএ সাংসদদের জাতপাতের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের আদর্শ নেতা হয়ে ওঠার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘আমাদের জাতপাতের রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে সমাজের জন্য। সাংসদদের উপদেশ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সব বিষয়ে সাংসদদের কথা বলা জরুরি নয়’।
মোদী আবার নীতীশ কুমারের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন যে কম আসন পেয়েও তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। নীতীশ কুমারকে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী করেছে বিজেপি। এবার আসন সংখ্যা কম থাকায় তার যোগ্য না হলেও তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। এটি এনডিএর আত্মত্যাগের চেতনা এবং একমাত্র এনডিএই একটি স্থিতিশীল সরকার দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দলগুলোই এনডিএ ছেড়েছে, তারা নিজেদের স্বার্থে চলে গেছে। আকালি দল নিজের জন্য এনডিএ ছেড়েছে।
২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায়র ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাংসদদের উচিত উন্নয়নমূলক নানান কাজের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা। সুষমা স্বরাজ এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে অটলজির সরকার যে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছিল, তার সরকার সেগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ১২ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার ওপরে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দলীয় সাংসদদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ইউপিএ-র আমলে এত স্কিম ছিল না, আপনার হাতে শতাধিক প্রকল্প রয়েছে, আপনার সংসদীয় এলাকার মানুষকে সেগুলি সম্পর্কে জানানো আপনার কর্তব্য’।