কর্ণাটকের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলার পর অবশেষে নাটকের যবনিকা পতন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। সন্ধে ৬ টার সময় রাজভবনে সম্পন্ন হল শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।
তিন দিন আগেই কর্ণাটকের বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে গিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন হয়। ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী।
আগামী ৩১ জুলাই-এর মধ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে ইয়েদুরাপ্পাকে।
চতুর্থ বারের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন ইয়েদুরাপ্পা। ২০০৭ সালে আজকের প্রতিপক্ষ কুমারাস্বামীর সমর্থনেই প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ২০০৮ সালে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সরকার পড়ে যায়। ২০১১ সালে মাস খানেকের জন্য জেলও হয় তাঁর। তৃতীয় দফায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন ২০১৮ তে। পরে অবশ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমানে ব্যর্থ হয় তাঁর দল।
আরও পড়ুন, কর্ণাটকে সরকারের পতন, আস্থাভোটে পরাজিত কুমারস্বামী
মঙ্গলবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থাভোটে পরাজিত হয় মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-জেডি (ইউ) সরকার। এদিন সন্ধ্যায় বিধানসভার অধ্যক্ষ কে আর রমেশ ঘোষণা করেন, “আস্থাভোটে অসফল হয়েছেন এইচ ডি কুমারস্বামী, সরকারের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৯ টি, এবং বিপক্ষে ১০৫ টি।” উল্লেখ্য, ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফার ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে সরকার, যার ফলে আস্থাভোটের প্রয়োজন হয়।
মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পদত্যাগপত্র সঙ্গেই এনেছেন তিনি। আবার বিকেলে আস্থা ভোট নিয়ে ‘অনিচ্ছাকৃত দেরি’র জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এইচডি কুমারাস্বামী। তার আগের চারদিন ধরে আস্থা ভোট নিয়ে বিধানসভায় বিতর্ক পর্বে তাঁর পদ ছেড়ে না দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল বলে নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, “আমি আমার রাজ্যের মানুষ এবং অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আস্থা ভোটের ফলাফল কী হবে জানতাম না, আজ সঙ্গে পদত্যাগপত্র নিয়েই এসেছিলাম।”