মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। দিল্লি গিয়ে দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পুরনো দলের বিরুদ্ধে। জল্পনা তৈরি হয়েছিল ক্যাপটেন অমরিন্দরের বিজেপিতে যোগদানের। অবশ্য পরে ক্যাপটেন জানান যে তিনি দেরুয়া দলে যাচ্ছেন না। কিন্তু, নতুন দল গড়বেন। নবগঠিত দলের ভবিষ্যৎ কোন পথে? বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে তারই জবাব দিলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
গত সাড়ে চার বছরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতির ৯২ শতাংশ কাজই সম্পন্ন করেছেন বলে এ দি্ন সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন ক্যাপটেন অমরিন্দর। ব্যাট সম্পর্কিত ১০টি কাজ তিনি করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর অপসারণের পরই কংগ্রেসে ক্যাপটেনের বিরোধী বলে পরিচিত এক মন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেননি অমরিন্দর সিং। ওই মন্ত্রীর নাম মুখে উচ্চরণ করতে রাজি হননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বলেছেন, 'এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা।'
কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গঠনের কথা এ দিন ঘোষণা করেছেন ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং। তবে, এখনও সেই দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে নবগঠিত দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন ক্যাপটেন। তাঁর সাফ ঘোষণা, '১১৭ আসনে লড়াই করবেন দলীয় প্রার্থীরা।'
পাঞ্জাবে সঙ্কটে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী চান্নি ও প্রদেশ সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর বিরোধ প্রকট হয়েছিল। ইস্তফা দিলেও শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে ফের প্রদেশ সভাপতি পদে কাজ চালাচ্ছেন সিধু। কিন্তু ছাই চাপা আগুন কবে মাথাচাড় দেবে তাই নিয়েই আতঙ্কে হাত শিবির। এই পরিস্থিতি শতাব্দী প্রাচীন দলের নেতাদের মাথাব্যথা আরও বাড়ালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর সিং বলেছেন, 'আমার নতুন দলে প্রচুর সংখ্যায় কংগ্রেসের নেতা, কর্মী, সমর্থক রয়েছেন। ক্রমেই তার প্রমাণ পাবেন।'
কংগ্রেসকে বেগ দিতে এবার একদা বিরোধী বিজেপিতেই আস্থা রাখেছেন ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং। সাফ জানিয়েছেন যে, আগামী বিধানসভা ভোটে তাঁর দল বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করবে। তবে, এনডিএ-র প্রাক্তনী অকালী দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ অমরিন্দর সিং।
সম্প্রতি ভারত-পাক সীমান্ত রাজ্য পাঞ্জাবে বিস্ফোরক বোঝাই পাক ড্রোনের আনাগোনা নজরে পড়েছে। ঘটেছে সেনা বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনাও। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'আমি আতঙ্কপ্রবণ নই। কিন্তু বাস্তবে এটা ঘটছে। সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। গ্রামবাসীদের বলুন ড্রোন পাঠানো হচ্ছে। আমাদের গোপন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজনীতিবিদদের পাঞ্জাবকে রক্ষা করা উচিত।'
একই সঙ্গে তাঁর দাবি, খালিস্তানপন্থী ও পাকিস্তান পাঞ্জাবে নাশকতা ঘটানোর উদ্দেশে কাজ করছে। এ নিয়ে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ আশা করছি। রাজ্যে শান্তি, শৃঙ্খলার জন্য বিএসএফ, ও সিআরপিএফের পাঞ্জাব পুলিশকে সহায়তা করা প্রয়োজন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন