হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। নাদৌনের তিনবারের বিধায়ক। হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচনী কমিটিরও প্রধান পদে ছিলেন তিনি। নির্বাচনের আগে থেকেই সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখুর নাম উঠে এসেছিল। শনিবার হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সূ্ত্রে খবর, শীঘ্রই রাজধানী সিমলায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। সেখানেই সুখুর নামে দলের বিধায়করা সমর্থন জানাতে চলেছেন। পাশাপাশি, ওই বৈঠকে কংগ্রেস হাইকমান্ডও সুখুর নামই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করবে।
বর্তমানে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রতিভা সিং। তিনি নিজেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। পাশাপাশি, রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রীও ছিলেন দৌড়ে। তাই সুখুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে যাতে কোনও বিড়ম্বনা তৈরি না-হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে হাইকমান্ড। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে হাইকমান্ডের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকতে চলেছেন হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক।
বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ৫৮ বছর বয়সি সুখবিন্দর সিং সুখুর সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি বছরভর দলের তৃণমূলস্তরে যোগাযোগ রেখে চলেন। দলের নীচুতলার কর্মীদের নাম ধরে চেনেন। আর, এই সব কারণেই তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের নির্বাচনী কমিটির প্রধান করেছিল কংগ্রেস। দলের অন্য অনেক নেতার মতই রাজনীতিতে সুখুর উত্থান ছাত্র রাজনীতি থেকে। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ভারতীয় জাতীয় ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সালে হিমাচল প্রদেশ ছাত্র সংগঠনের সভাপতিও হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে শুরু নাটক, কেজরিওয়ালের কাউন্সিলরদের ভাঙাতে পারল বিজেপি?
নাদৌনের এই বাসিন্দা আইনের স্নাতক। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে দু'বার সিমলা পুরসভার কাউন্সিলর হয়েছিলেন। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন থেকে ২০০৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁর অনবদ্য টাইম ম্যানেজমেন্ট এবং জনপ্রিয়তার ওপর ভিত্তি করে সুখু ২০১৩ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন। তার আগেই অবশ্য ২০০৩ সালে নাদৌন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০০৭ সালে নাদৌনের বিধায়ক হন। ফের এই আসনে ২০১৭ সালেও জয়ী হন।
Read full story in English