পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই)-এর কার্যালয়ে জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযান এবং কেরলের শীর্ষস্থানীয় পিএফআই নেতাদের গ্রেফতারের পর এই দক্ষিণপন্থী মুসলিম সংগঠন এবং সঙ্ঘ পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হয়েছে। উভয় শিবিরই বামশাসিত রাজ্যে তাদের সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এজন্য রাজনৈতিক মাইলেজ পেতে সাম্প্রদায়িকতার রাস্তা চওড়া করতে চাইছে। কোনও সংগঠনের নাম না-করে, সোমবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা অভিযোগ করেছেন যে কেরল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।
কেরলের বিজেপি প্রধান কে সুরেন্দ্রন অভিযোগ করেছেন যে পিএফআই পাকিস্তানের জন্য কাজ করছে। আর, তাঁর দল জঙ্গিদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। একই সময়ে সুরেন্দ্রন দাবি করেছেন যে বিজেপি কেরলের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে। মুসলিম জঙ্গিদের হুমকির মুখে তাঁরা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পাশে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন সুরেন্দ্রন।
বর্তমানে পিএফআইয়ের বেশিরভাগ নেতা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্যরা আত্মগোপনে থাকা সত্ত্বেও, পিএফআই এবং তার রাজনৈতিক শাখা সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া (এসডিপিআই) তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলোর মাধ্যমে 'রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি' এবং 'জেলগুলো পিএফআইকে ধ্বংস করতে পারে না'-এর মতো অভিযোগ তুলে প্রচার শুরু করেছে। পাশাপাশি, পিএফআইয়ের প্রচার মাধ্যমগুলো 'NIA-RSS নেক্সাস'-এরও অভিযোগ করা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- গেহলটকে আর ভরসা নয়, কংগ্রেস সভাপতি পদে বিশ্বস্ত প্রার্থী খুঁজছে গান্ধী পরিবার
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর NIA গোটা দেশে PFI নেতাদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালায়। PFI-এর আগে কোঝিকোড়ে একটি মেগা 'সেভ দ্য রিপাবলিক' কনভেনশনের আয়োজন করেছিল। সেই কনভেনশনের পর RSS-এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচারে নেমেছিল এই মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বরের পিএফআই সম্মেলনে অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আফজল কাসিমি বলেছিলেন যে সংঘ পরিবারের 'সাম্প্রদায়িক প্রচার'-এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের যথেষ্ট 'সাহসী' হওয়া উচিত। তিনি বলেন, 'মুসলিম সম্প্রদায়কে দেখাতে হবে যে আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হুমকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগান এখানেই শেষ হচ্ছে না। দেশে সংঘ পরিবারের কবর না-খোঁড়া পর্যন্ত পিএফআই বিশ্রাম নেবে না।'
Read full story in English