লিখিত অভিযোগের ৭২ ঘন্টাও কাটল না। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে শুরু করে দিল সংসদের এথিক্স কমিটি। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে ২৬ অক্টোবর তলব করল এথিক্স কমিটি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ কতটা সত্যি তার স্বপক্ষে মৌখিক প্রমাণ দাখিল করতে বলা হয়েছে বিজেপি সাংসদকে।
মহুয়া মৈত্র মুম্বইয়ের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর স্বার্থরক্ষায় লোকসভায় ধারাবাহিক প্রশ্ন তুলেছেন অর্থের বিনিময়ে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে গত ১৫ অক্টোবর লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ করেছিলেন। দুবের দাবি, ওই ব্যবসায়িক সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বি। তাই ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থ রাখতেই লোকসভার ওয়েবসাইটের লগ ইন ক্রেডেনশিয়াল মহুয়া নাকি হীরানন্দানি গোষ্ঠীকে দিয়েছেন।
এদিকে একই অভিযোগ সিবিআইয়ের কাছে জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদরাই। জয় অনন্ত মহুয়া মৈত্রের প্রাক্তন 'বন্ধু' বলে জানা গিয়েছে। জয় অনন্ত দেহাদরাইয়ের অভিযোগ, মহুয়া ও দর্শন হীরানন্দানি আদানি গোষ্ঠী ও গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন।
এরপরই নিশিকান্ত ও জয়ের বিরুদ্ধে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীর অনিয়ম নিয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তুলছেন, যা বন্ধ করাতেই 'এ কোম্পানি'-র মদতে ভুয়ো ডিগ্রিধারী এক সাংসদ ও ওই আইনজীবী অপপ্রচার করে চলেছেন।
দুবের অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভার এথিক্স কমিটিকে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ পেয়েই তদন্তে নেমে পড়ল এথিক্স কমিটি। উল্লেখ্য এই কমিটিতে বিজেপি সাংসদদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এছাড়া এথিক্স কমিটিতে জেডিইউ, সিপিএম এবং বিএসপি এক জন করে সাংসদ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংসদের এই এথিক্স কমিটির কাছেই তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সাংসদ পদ খারিজের আবেদন এখনও ঝুলে রয়েছে। তার তদন্তে কেন গতি নেই? পাল্টা প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।