সোমবার বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটের সময় তেজস্বীর সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে আরজেডিকে কটাক্ষ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেছিলেন যে আরজেডি তাঁর সাফল্যের কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
আরজেডির বিরুদ্ধে নীতীশের এমন অভিযোগ নতুন নয়। মুসলিম ভোটের দিকে নজর রেখে আরজেডির ভিরুদ্ধে "অত্যধিক হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি" করার অভিযোগও করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে আরজেডির বিরুদ্ধে বিজেপির অভিযোগ “মুসলিম তুষ্টির”।
যদিও ২০১৩ সালে, জেডি(ইউ) প্রধান তার "সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি’র কথা তুলে ধরে বিজেপির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন করেন। সেসময় বিজেপির উদীয়মান তারকা নরেন্দ্র মোদীর প্রতি তিনি তাঁর তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সোমবার, তার সর্বশেষ মিত্র-শত্রু হয়ে যাওয়া আরজেডি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, নীতীশ বিধানসভায় বলেছিলেন, আরজেডি দাবি করে, মুসলমানরা তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু আরজেডির আমলে বিহারে অনেক হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ হয়েছে। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিই তখন থেকে আমি দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
তেজস্বী তাকে জোট ছাড়ার "যথাযথ কারণ"তুলে ধরার কথা বলার পালটা নীতীশ বিধানসভায় একথা বলেন। আরজেডির জাতীয় মুখপাত্র সুবোধ কুনার মেহতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "নীতীশ কুমারের বিবৃতিটি তার অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত মুখ। তিনি আমাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে বিজেপির বিভেদমূলক রাজনীতিকে এখন ‘উপযোগী’ করছেন বলে মনে করছেন। কিন্তু এই টিকবে না। যেহেতু সবাই লালু প্রসাদকে ১৯৯০ সালে বিজেপি নেতা এল কে আদবানিকে গ্রেফতার করার জন্য (এবং রাম মন্দিরের জন্য তাঁর রথযাত্রা থামিয়ে দিয়েছিলেন) ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক হিসাবে সকলেই জানেন। নীতীশ জানেন যে তার ভোটের দ্রুত আমাদের দিকে সরে আসছে।তিনি তাই ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়াচ্ছেন।
জেডি(ইউ) জাতীয় মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেছেন, নীতীশের বক্তব্যকে ভুল বোঝানো উচিত নয়। "বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির জন্য কারুর থেকে কোণ শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। বিহারে লালু-রাবড়ি সরকারের অধীনে আইনশৃঙ্খলা ভাঙ্গনের প্রেক্ষাপটে তার বিবৃতিটি দেখা উচিত এবং বিচার করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী কেবল একটি তুলনা টেনেছেন৷ যা সত্য তা হল যে নীতীশ কুমারের অধীনে গত ১৫ বছরে, কোনও বড় সাম্প্রদায়িক হিংসা হয়নি।"